দাম কমায় ফলের বিক্রি বেড়েছে

আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নগরীতে শীত মৌসুমে ফলের দাম কমেছে। এতে ফলের চাহিদা বেড়েছে ক্রেতাদের কাছে। দোকানগুলোতে ফলের আমদানি পর্যাপ্ত রয়েছে। ফলের মধ্যে বিশেষ করে ক্রেতাদের কাছে বেদানা, মালটা, আঙুর, আপেল ও কমলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে  ফলের মধ্যে বেদানা ও আপেলের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে প্রতি কেজি বেদানা ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক মাস আগে প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। এদিকে বড় আকারের প্রতি হালি কমলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতি কেজি আপেল ১০০ থেকে ১২০ বা ৪০ টাকা, টেনু ১৪০ টাকা কেজি বা ৮০ টাকা হালিতে বিক্রি, মাল্টা প্রতিকেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আঙ্গুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানিকৃত ফলের প্রতি মানুষের আস্থা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে ফল কেনার চাহিদাও বেড়েছে। নগরীর সাহেববাজার, গণকপাড়া, স্টেশন বাজার, লক্ষ্মীপুর, কোর্ট স্টেশনছাড়ও বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ফেরি করে ফল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
নগরীর সাহেববাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা ও আলুপট্টি এলাকার ফল ব্যবসায়ী আশরাফুল জানান, শীতের কারনে ফলের দাম কমেছে বাজারে। তবে কিছুদিন পর গরম আসলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ক্রেতাদের ফলের কেনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নগরীতে ফরমালিনমুক্ত ফল বিক্রি হচ্ছে। ফলের আকার ও টাটকা ধরনের ফল বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এছাড়া নগরীতে মাঝে মাঝে ভোক্তা অধিদফতর কর্তৃপক্ষ বাজার মনিটরিং করে। এতে ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। বিক্রিও বেড়েছে ফলের।
গতকাল সাহেববাজার এলাকায় ফল কিনতে আসে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা ফরমালিনমুক্ত ফল বিক্রি করছেন। ফরমালিনের কারণে মাঝে ভোক্তারা ফলের প্রতি আস্থা হারিয়েছিলেন। কিন্তু এখন ফলের গুণগত মান ভাল থাকায় ফল কিনতে এসেছি বাজারে। তবে প্রতিকেজি বেদানা ও আপেলের দাম একটু কমেছে আগের থেকে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ