দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ রাবির আইইআর পরিচালকের

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ২:৫৮ অপরাহ্ণ

অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

রাবি প্রতিবেদক :


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষক।

গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার পদত্যাগে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করে তাকে বিভাগের স্বপদে ফিরিয়ে আনতে আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য বরাবর আবেদন জানিয়েছেন।

এদিন দুপুরে নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করিনি। আমি উপাচার্য বরাবর আবেদন জানিয়েছি যেন, আমাকে ইনস্টিটিউট থেকে আমার বিভাগের দায়িত্বে স্বপদে ফেরত আনা হয়।

উপাচার্য আপনাকে ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে বহাল থাকতে বললে থাকবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একান্তই উপাচার্য মহোদয়ের বিষয়। উনি যদি বলেন, অবশ্যই আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দায়িত্ব পালনে কেনো অপারগতা প্রকাশ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানকার শিক্ষকরাসহ কর্মপরিবেশ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, ভালোভাবে কাজ করা যাবে না।

শিক্ষার্থীরা কোনো চাপ সৃষ্টি করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, না, শিক্ষার্থীদের আমি কোনো দোষ দিই না, একেবারেই দিই না। তাদের সঙ্গে আমার কখনোই বিরোধ ছিলো না। শিক্ষার্থীরা যদি আমার বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে, সেটা ওখানকার শিক্ষকদের প্ররোচনায় করেছে।

এর আগে, গত ৯ আগস্ট পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল ইনস্টিটিউটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সেসময় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে না আসা, সেশনজট বৃদ্ধি করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হেনস্তা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন তারা।

এরপরও তিনি পদত্যাগ না করায় গত শুক্রবার তার পদত্যাগ দাবি করে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। শনিবার আল্টিমেটাম শেষ হলেও পদত্যাগ না করে আজ সোমবার দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে উপাচার্য বরাবর স্বপদে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

গত এপ্রিল মাসেও আইইআরের তীব্র সেশন জট নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেসময় শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলা ও গ্রুপিংকে এর জন্য দায়ী করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।