মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় সরকার অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ড. দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার সকল সদস্য ও নারী সদস্যদের নিয়ে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে যান। তাদের সঙ্গে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ দলীয় নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
তারা জেলা পরিষদে গেলে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার তার অফিস কক্ষে গিয়ে বসেন। সেখানে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারসহ সকল সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের অনেক সম্পদ আছে। বহু সম্পদ বেহাত হয়েও আছে। বেহাত থাকা সম্পত্তি উদ্ধার করতে হবে। আর যেসব জমি ইজারা দেয়া আছে সেগুলো সবকিছু ঠিক আছে কী না তা দেখতে হবে। ঠিক না থাকলে সেগুলোর যুগোপযোগী ইজারামূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের সম্পদ থেকেই আয় বাড়িয়ে প্রথমে উন্নয়ন কর্মকা- শুরু করতে হবে।
জেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা লিটন বলেন, ‘রাজশাহী জেলা পরিষদে একটি সমৃদ্ধ পরিষদ হয়েছে। আমি আমার অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমরা সবাই মিলেই রাজশাহীকে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।’
মতবিনিময় সভা শেষ হলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এরপর জেলা পরিষদে জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন ও স্থায়ী কমিটিগুলো গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রথম সভায় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার তার পরিষদের সদস্যদের বলেছেন, এমন এক সময় তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, যখন জেলা পরিষদের অবস্থা খুবই নড়বড়ে। তবে এমন অবস্থা থাকবে না। তিনি যখন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন সেখানকার অবস্থাও ছিল এমন নড়বড়ে। সেখানকার চিত্র তিনি পাল্টেছেন। জেলা পরিষদের চিত্রও পাল্টে দেবেন।
তিনি বলেন, ভালো কাজ করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবাই মিলে কাজ করলে রাজশাহী জেলা পরিষদ হবে দেশের মডেল জেলা পরিষদ। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য ও নারী সদস্যরাও।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি ওই সভায় জেলা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, গোলাম মোস্তফা, রবিউল আলম, এমদাদুল হক, মোফাজ্জল হোসেন, নাইমুল হুদা রানা, শফিকুল ইসলাম, আবদুল মান্নান ফিরোজ, আবুল ফজল প্রামানিক, আবদুর রশিদ, মাহমুদুর রহমান রেজা, আবু জাফর মাস্টার, আসাদুজ্জামান মাসুদ, আজিবর রহমান, নূর মোহাম্মদ তুফান, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য কৃষ্ণা দেবী, শিউলী রানী সাহা, রাবেয়া খাতুন সিমা, নারগিস আক্তার ও জয়জয়ন্তী সরকার মালতি উপস্থিত ছিলেন।