দিনে গরম, রাতে ঘন কুয়াশামাখা শীত

আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


দিন যত যাচ্ছে ততই রোদের প্রখরতা ও কড়া সূর্যের চাহনি ম্লান হচ্ছে। তবুও বেলা গড়িয়ে দুপুরের কিছু সময় রোদে শরীর মেলোনো কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শ্রমজীবী মানুষ, যারা খোলা প্রকৃতিতে কাজ করেন, তাদের শরীর ঠিকই ঘেমে যাচ্ছে। তবে বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই গায়ে জড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়। সন্ধ্যা গড়িয়ে যত রাত হচ্ছে, ততই কুয়াশায় ঢাকছে প্রকৃতি। সকালে রাস্তা-ঘাট কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে। আবারও বেলা বাড়তেই ভেজা রাস্তা শুকাচ্ছে সূর্যের তেজে। এভাবেই দিনে গরম ও রাতে কুয়াশামাখা শীতে আবৃত হচ্ছে রাজশাহীর প্রাণ-প্রকৃতি।

ঘন কুয়াশার কারণে রাতে বিশেষ করে সকালের দিকে চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। হেড লাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। আর ঠান্ডা গরমের লুকোচুরি খেলায় ফ্লু, অ্যাজমা, ডায়ারিয়ার, নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এতে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা অনুভূতি। সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পরিধান করে চলাফেরা করছেন মানুষজন। রাতে গায়ে কাঁথা ও কম্বল নিয়ে হালকা শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমছে মানুষের চলাফেরা। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।

নগরীর অটো রিকশাচালক মুস্তাক আহমেদ বলেন, আমি ভোরে ও রাতেই অটো রিকশা নিয়ে বেশি বের হই। কারণ ভোর বেলায় ভালো উপার্জন করা যায়। পরে সকাল ১০ টার দিকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে সারাদিন কৃষি কাজ করি। সন্ধ্যায় আবার বের হতাম। কিন্তু শীত বাড়ছে। এখন তো আর সকালে ও রাতে বেশি বের হতে পারবো না। তারপরও পেটের তাগিদে মাঝেমধ্যে বের হতে হবেই।
আরেক অটো রিকশা চালক মন্নাছ মিয়া বলেন, আমি তো শীতেই বেশি ভয় পাই। কারণ, শীত আমাদের জন্য উপার্জন কমে যাওয়ার একটি মৌসুম। চালকদের জন্য শীত উপার্জন কমে যাওয়ার মৌসুম হলেও কৃষকদের জন্য লাভের মৌসুম। লাভের আশায় শীতে নতুন করে শাক-সবজির চাষাবাদ শুরু করছেন কৃষকরা।

এদিকে, শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকালিন নানা খাবারের পসরা সাজিয়ে নগরীর ফুটপাত ও পর্যটন স্পটগুলোতে বসছেন। জমে উঠছে পিঠার বেচাবিক্রি। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাবিক্রি। একই চিত্র শীত কাপড়ের দোকানগুলোতেও। আর ফ্রাইডে মার্কেটে শীত কাপড় কিনতে নগরীর সাহেব বাজার এলাকার ফুটপাতের দু’পাশে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যেখানে কমদামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শীতের গরম কাপড় কিনছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ