শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
কলকাতা থেকে দীপঙ্কর দাসগুপ্ত
বৃহস্পতিবার ভোরে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশি জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য রেজাউল আহমেদকে। দিল্লি পুলিশের একটি গোপন দল নেপাল থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে তিনজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। রোববার ও বুধবারে ওই একই সংগঠনের একজন করে সদস্য গ্রেফতার হয়েছিল ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি গোষ্ঠি। সে দেশের একাধিক নাশকতায় ও ব্লগার হত্যায় নাম জড়িয়ে রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের।
ওই দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। ধৃত জঙ্গি রেজাউলের সঙ্গে আল- কায়দার যোগাযোগও ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তার গতিবিধির ওপর কয়েকদিন ধরেই নজর রাখা হচ্ছিল। সম্প্রতি সে ভারত হয়ে নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে নেপালেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেজাউল পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তে জাল টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি পুলিশের। সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, জাল নোট চক্রের অন্যতম মাথা ছিল রেজাউল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দীর্ঘদির ধরেই তাকে খুঁজছিল। পুলিশের বক্তব্য, দুই সদস্য গ্রেফতার হওয়ায় রেজাউল নেপালে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার তাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের কুতেসারা গ্রাম থেকে এক বাংলাদেশি জঙ্গি আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর ছক কষছিল ওই জঙ্গি বলে জানায় পুলিশ। ধৃত আবদুল্লাহর থেকে বেশ কয়েকটি জাল পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, জাল পরিচয়পত্রগুলি অন্য জঙ্গিদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের গা ঢাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব ছিল আবদুল্লাহর উপর। বাংলাদেশের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সদস্য আবদুল্লাহ গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মুজফফরনগরে ঘাঁটি গেড়েছিল। এর আগে ২০১১-তে সাহারানপুরে গোপন আস্তানায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে।