শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক:
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর সাহার বহিষ্কার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের নীচে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। এসময় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধার্থ শংকর সাহা রুয়েটের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বহিষ্কার দাবি করে সমাবেশের শেষে রসায়ন বিভাগের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘দফা এক, দাবি এক, শংকরের বহিষ্কার’, ‘শংকরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘শংকরের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শংকরের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘ভারতের দালালরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘ভারত যাদের মামাবাড়ি, রুয়েট ছাড়ো তাড়াতাড়ি’, ‘শংকরের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’, ‘শংকরের চামড়া, কুত্তা দিয়ে কামড়া’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
সমাবেশে মাইনুদ্দিন নামে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি ডিপার্টমেন্ট ও বিভিন্ন জায়গায় ইসলাম বিদ্বেষী কথা-বার্তা বলে আসছিলো। ফাইনালি আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে উনি কথা বলেছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে গালি দিয়েছে। উনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন সমন্বয়ককে ‘খনিকের পোলা’ বলে গালি দিয়েছে। আমরা বলতে চাই সমন্বয়ক ‘খনিকের পোলা’ না। ‘খনিকের পোলা’ সে, যে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাকে ‘খনিকের পোলা’ বলে গালি দিয়েছে। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোন শক্তিকে এবং ধর্ম অবমাননাকারীকে আমাদের রুয়েটে স্থান হতে দিবো না।
তিনি আরও বলেন, উনি কালকে একটা পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। আজকে যদি স্বৈরাচার ক্ষমতায় থাকতো, উনি কি এই ক্ষমা চাইতো? স্বৈরাচার যদি ক্ষমতায় থাকতো যারা আন্দোলন করেছে ওনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। আমরা বলতে চাই, ভবিষ্যতে কেউ যেন এই ধরনের কর্মকাণ্ড করার সাহস না পায়। এই ধরণের শিক্ষকদের আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার চেষ্টা করবো।