সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সিংড়া প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৈগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রের দ্বন্দ্বের কথা শুনে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে এক শিক্ষককে পিটিয়েছে অভিভাবক ও তার পরিবারের অপর দুই সদস্য। এসময় শিক্ষককে চাপাতি নিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হলে অন্যদের সহায়তায় প্রাণে বেঁচে যান ওই শিক্ষক।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করার চারদিন পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় নি বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষক। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম জানান, গত রোববার দুপুরের দিকে তৃতীয় শ্রেণির প্রথম ক্লাস শেষে এক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় ক্লাসের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। দ্বিতীয় ক্লাস শুরুর আগেই স্থানীয় মামুনের ছেলে একই শ্রেণির অপর এক ছাত্রের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। এসময় উভয় উভয়কে চর-থাপ্পর মারার সময় অপর এক ছাত্র মামুনদের খবর দেয়। স্কুল পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মামুন বিষয়টি শোনার পর তার ছোটভাই মানিক ও বাবা আলতাফকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনজনে মিলে ওই শিক্ষককে মারপিট করে। এসময় মানিক বাড়ি থেকে চাপাতি এনে তাকে আক্রমণ করতে গেলে স্কুলের অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি বেঁচে যান। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দায়ের করার দুইদিন পরও কোনো প্রতিকার পান নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই দিন বিকেলেই তিনি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা কেউ উপস্থিত না হওয়ায় মিমাংসা করা যায় নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ দায়েরের পর ওই দিন পুলিশ একবার ঘটনাস্থলে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ আটক বা ঘটনার কোনো সুরাহা হয় নি। ভুক্তভোগী শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম মাথায় ফোলা জখম নিয়ে ক্লাস করছেন। দুই দিন পরও বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে সিংড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।