বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেনকে তদন্ত থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন বছর থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলেছে।
রোববার (১২ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তার পরিসমাপ্তি ও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ড. মোকবুল হোসেনকে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ওএসডি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে। ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেন ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ছয়জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির আদেশ দেন। তা ছাড়া তারিখ জেনেও এ-সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির তদন্তে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। একই বিধিমালার বিধি ৪ (২) (ঘ) মোতাবেক ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপনমূলে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকর’ লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।
শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন বলেন, আমার পেশাগত সাফল্যে ঈর্ষান্বিত একটি কুচক্রী মহলের দ্বারা আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার প্রতি দুদক সুবিচার করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি অসত্য ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অযৌক্তিক ও অনান্য দণ্ড প্রদান করেছে। প্রজাতন্ত্রের কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নন। দুদকের তদন্তে প্রকৃত সত্য প্রমাণিত হয়েছে।