দুর্গাপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানা মামলা

আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানায় নামীয় ১৭ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। দুর্গাপুরের গগণবাড়িয়া গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিন সরদারের ছেলে মো. শাহিন সরদার এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোঃ শাহিন সরদার দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে সরকারিভাবে গগনবাড়ীয়া মৌজায় ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১(এক) একর খাস জোত সম্পত্তি ও ৩ (তিন) একর লিজ গ্রহণ করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কয়েকজন কানপাড়া কলেজ মাঠে শাহিন সরদারের নিকট চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই টাকা না দিলে জানে মেরে ফেলাসহ পুকুরের মাছ লুট হবে বলে হুমকি দেয়। শাহিন সরদার প্রাণে বাঁচতে ভীত হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর তাদেরকে দুই লাখ টাকা দেন। কিন্তু তারা আরো দুই লাখ দাবিতে অনড় থাকে। শেষে শাহিন সরদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১২ সেপ্টেম্বর তার লীজকৃত পুকুরে বেড়জাল, কারেন্ট জাল ও খেপলা জাল দিয়ে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার মেরে নেয়। এ বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন, লোকজনকে জেনে আসামীদের পুকুর থেকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। যৌথ বাহিনীর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারো তারা মাছ শিকার করে শাহিন সরদারের ব্যাপক ক্ষতি করে।

প্রেক্ষিতে দুর্গাপুর থানায় নামীয় ১৭ জনকে আসামী করেন শাহিন সরদার।
উক্ত মামলার আসামীরা হলো, গগনবাড়ীয়া গ্রামের রুস্তম উদ্দিনের ছেলে মো. বদর আলী (৩৮), মৃত বেসা উল্লাহর ছেলে মো. জামান (৫০), সিংগা গ্রামের মৃত দুর্লভ কারীগরের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম আজম (৪৮), মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা মোঃ সাইদুর রহমান মুন্টু (৬৫), মো. নেহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০), গগনবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিসের ছেলে মো. ইস্রাফিল (৪৫), মৃত হোসেনের ছেলে তোতা (৫০), তোতার ছেলে মো. শাহিন (২৮), মৃত যেতুর মোঃ জামু (৪৫), মৃত রেফাতুল্লাহ শাহ্র ছেলৈ মো. তরিকতুল্লাহ (৪৫), মহির চৌকিদারের ছেলে মো. লইয়ম (৫০), মৃত হাচেনের ছেলে মোঃ আজাদ – (৪০), মো. আসাদুল (২৮), আজিবরের ছেলে মোঃ জীবন (২৫), মৃত খবিরের ছেলে মোঃ আফজাল (৩২), কুশাডাঙ্গা গ্রামের মৃত লেসুর ছেলে মোঃ মাহাতাব (৫০), গোড়খাই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ নাসিমুল (৪৫) ও পবার থানার গোদাগাড়ী গ্রামের মৃত নুরীর ছেলে মো. হানিফ(৩৫) সহ সঙ্গীয় আরো অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২জন।