সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাউয়ের পসরা সাজিয়ে কেনা-বেচা করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এরপরে ট্রাকে করে লাউগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এবার পুরো উপজেলায় লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও জমি থেকে বিক্রি করা হচ্ছে লাউ। প্রতিটি লাউ ১২-১৫ টাকায় কেনা-বেচা হচ্ছে। শুরুতে এ লাউ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা পিচ। তবে বর্তমানে দাম কিছুটা কমেছ। এইসব স্থান থেকে দুপুরে লাউ ট্রাকে তুলে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার ৪৫০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ হয়েছে। যা গতবার ছিল ৩৮০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার জয়নগর, চুনিয়াপাড়া, কানপাড়া, বাজুখলসী, পানানগর, কলনটিয়া, শালঘরিয়া ও পৌর এলাকার দেবীপুরে সবচেয়ে বেশি লাউ চাষ হয়েছে।
লাউ চাষি দেবীপুর আজিজুল ইসলাম বলেন, ১৫ কাঠা জমির মাচায় লাউগাছে প্রচুর চালান এসেছে। প্রথম দিনেই ২০০টি বিক্রি করেছি ১৫ টাকা দরে। দাম এর নিচে নামলে লোকসান হতে পারে।
দুই বিঘা জমিতে মাচায় লাউ চাষ করেছেন আশরাফ আলী বলেন, জমিতেই প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা দরে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মৌসুমের শুরুতেই এ লাউ ৩০ টাকা পিসও বিক্রি করেছি। লাউ চাষে খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেন তিনি।
পাইকারি ব্যবসায়ী সুমন আলী বলেন, প্রতিদিন এক ট্রাক লাউ ঢাকায় পাঠান তিনি। শুরুর দিকে পিচ প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হলেও সেই এখন লাউ এখন ১২ থেকে ১৪ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, লাউ চাষ লাভজনক। খরচ ও পরিশ্রম অনেকটাই কম। ফলে এবার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লাউ চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকেরা আলু, পেঁয়াজ ওঠানো প্রায় জমিতে মাচায় লাউ চাষ করে। প্রতিদিন উপজেলার প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি স্থানে কৃষকেরা লাউ বেচাকেনা হচ্ছে। দূর–দূরান্তের পাইকারেরা এসে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন।