শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
দুর্গাপুর প্রতিনিধি
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীয়া শহীদ আবুল কাশেম স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ,অনিয়ম,দুর্নীতি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা ও অমানবিক আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রতিষ্ঠানে না পেয়ে অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার ১০ (অক্টোবর) কলেজ সহ কাঁঠালবাড়িয়া বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে শাটডাউন ঘোষণা করে অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এর আগেও একই দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করায় স্কুল শাটডাউন ঘোষণা দিয়ে পাঠদান থেকে বিরত থাকে তারা। এসময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন প্ল্যান কার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। যত্রতত্র অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন । অধ্যক্ষ নিয়োগ বাণিজ্য থেকে কলেজের অনেক অর্থ লুটপাট করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন প্রতিনিয়ত। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ছাত্রীদের অপমান করতেন।
ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করে একাধিক শিক্ষক বলেন, আমরা চাই না অধ্যক্ষের জন্য কলেজে কোনো বিশৃঙ্খলা হোক- এজন্য আমরা শিক্ষকরাও সবাই একত্রিত হয়েছি। তার অধীনে আমরা শিক্ষকতা করতে চাই না, আমরাও তার পদত্যাগ দাবি করছি।
জানাগেছে, ২২ শে জুন ২০১৯ সালে আমিনুল ইসলাম অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি যোগদানের পর থেকে অনিয়ম করে ৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগিয়ে নেন। তৎকালীন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মজার হালি থাকাকালীন সময়ে দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে তিনি সেই অর্থ প্রতিষ্ঠানে ফেরত দিতে ব্যর্থ হন। তার অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বাইশে ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠান ম্যানেজিং কমিটি তাকে বরখাস্ত করেন। পরে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের ছাত্রছায় আমিনুল ইসলাম আবারো অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকেন। এছাড়াও গত ২৫ শে আগস্ট ছাত্র জনতার চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানের হিসাব দেওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করেন সেই হিসাব দিতে তিনি ব্যর্থ হন। অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকরা
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি বিজি আছি পরে কথা বলবো।