মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুর কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসৎ আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাবরিনা শারমিন বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন মেহেদী হাসান নামের এক অভিভাবক।
লিখিত ওই অভিযোগে তথ্য গোপন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানের উপবৃত্তির টিউশন ফি এর টাকা লুটের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অভিযোগে অধ্যক্ষের অর্ধকোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির কথাও বলা হয়।
এদিকে, অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে বলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন মাহাবুর নামের আরেক অভিভাবক।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাবরিনা শারমিন সরেজমিন তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামকে আহবায়ক করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার রাহেদুল ইসলাম, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মাহাফুজ আরিফিন। এমনকি তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবদেন গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে, তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্তের চিঠি পাওয়ার পরে অধ্যক্ষ কমিটির আহবায়ক বরাবর সময় চেয়ে আবেদন করেন। অধ্যক্ষের সময় চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ৭কর্মদিবস সময় বৃদ্ধি করে দেন। পরে তদন্ত কমিটি লিখিত অভিযোগের আলোকে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠিানে দফায় দফায় তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে অধ্যক্ষের নানান অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়ার উল্লেখ করে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কমিটি।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অধ্যক্ষকে জবাব চাওয়া হয় এবং কেন তাকে (অধ্যক্ষ) বরখাস্ত করা হবে না মর্মে নোটিশ জারি করেন। অধ্যক্ষ নোটিশের জবাব দিলেও তাতে নানান অসঙ্গতি দেখা যায়। যার ফলে পুনরায় অধ্যক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়। তবে দ্বিতীয় নোটিশের জবাব দেওয়ার সময় পার হলেও অধ্যক্ষ তা দেয়নি বলে জানা যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম বলেন, আমি নতুন এসেছি। কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়ে তেমন কিছু জানা নেই। তবে আমি এসেছি বিষয়টি জানবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে অধ্যক্ষকে প্রতিবেদনে উঠে আসা অসংগতিগুলোর জবাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছি। তবে প্রথম নোটিশের জবাব অধ্যক্ষের অসংগতি দেখে আবার নোটিশ করা হয়। তবে দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান ইউএনও।