দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের ‘তিন মাথার দানব’ থেতলে দিতে বললেন ইনু

আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৪, ৯:৪৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের ‘তিন মাথার দানব’ থেতলে দিতে বলেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি সবাইকে গিলে খাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে গিলে খাচ্ছে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে গিলে খাচ্ছে। এই তিন মাথার দানব এখনই যদি থেতলে না দেওয়া হয় তাহলে তা দেশের জন্য অশনি সংকেত হয়ে যাবে। তিন মাথার বাংলাদেশের জন্য সর্বনাশ বয়ে আনবে।’

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় যুবজোটের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর গণকপাড়া জয়বাংলা চত্বরে তিনি বলেন, ‘ইনু ভাই ভোটে হেরেছে তাই রাগ করে এই কথা বলছেন। আসলে রাগ করে না। সাধারণ মানুষের জন্য এই কথা বলা। আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও মানুষের কথা বলেছি। আমার দল জাসদও সাধারণ মানুষের কথা বলবে।’

সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ শিল্পমন্ত্রী বলেছেন রোজাতে খেজুরের বদলে বরই খেতে। সাধারণ মানুষ কেন খেজুরের বদলে বরই খাবে। তিনি নিজে খেজুর খাবেন ও মানুষ বরই খাবে তা হবে না। আমি বরই দিয়ে ইফতার করবো আর তুই খেজুরের জুস খাবি তা হবে না। আপনারা সিন্ডিকেট ভাঙেন। প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় কিছু গণ্ডমুর্খ জায়গা পেয়েছে। তাদের পাছায় লাত্থি মেরে বের করে দেন। এসব মন্ত্রীদের কারণে বিপদে পড়তে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম দেশের অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে গেছে। তারা ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছে না। অপরাজনীতির কারণে তারা বিশ্বাস হারাচ্ছে। এই প্রজন্ম দেশ ছাড়তে চাচ্ছে। কিন্তু তারা দেশ ছাড়বে কেন? এই প্রজন্ম দেশ ছাড়লে মেধাবী হারাবো আমরা।

জাসদ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হয়েছে। খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে অস্থিরতা আছে। তারা কেউ স্বস্তিতে নাই। তাদের ভেতরে অস্থিরতা কাজ করছে। যে পণ্য হাত দিচ্ছে সেই হাতই পুড়ে যাচ্ছে। প্রতিটা জিনিসের দাম আকাশচুম্বি। ভারত থেকে পণ্য আসলে দাম কমছে। এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের এখনই গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বলছেন তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা হুংকার দিচ্ছেন। কিন্তু হুংকার দিলে কাজ হবে না। কাজ করে দেখাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চল থেকে ট্রাকে করে সবজি যাচ্ছে ঢাকায়। ঢাকায় পৌঁছানোর আগে ১৪ জায়গায় চাঁদা দিতে হচ্ছে। ট্রাকপ্রতি চাঁদা দিতে হচ্ছে ৬ হাজার টাকা। এর সাথে কিছু অসাধু পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতারা। আমাকে দায়িত্ব দিয়ে দেখেন। মাত্র দুই ঘণ্টায় সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেবো। পণ্য পরিবহন কোনো ট্রাকে চাঁদাবাজি হবে না।’

জাতীয় যুবজোট এর কেন্দ্রীয় সাধারণ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম-সুজন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ-সম্পাদক সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জাসদের সহ-সভাপতি এড.মজিবুল হক বকু, যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী-শিবলী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় যুবজোটের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাসদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান-শফি, রাজশাহী জেলা জাসদ এর সভাপতি প্রদীপ মৃধা, মহানগর জাসদের সাধারণ-সম্পাদক আমিরুল কবির-বাবু, যুবজোটের কার্যকরী সভাপতি আমিনুল আজিম-বনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ