দু সপ্তাহের অভিযান শেষ, গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল ‘ধ্বংস’ করে বিদায় ইসরায়েলি সেনার

আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতাল কার্যত ধ্বংস করে দিল ইজরায়েলি সেনা। গত দু সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে হামাস বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফৌজ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে আল শিফা হাসপাতাল। পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা।

গাজার বৃহত্তম হাসপাতালটিকে ঘাঁটি করে নাশকতা চালাচ্ছে হামাস, বারবার এই অভিযোগ এনেছে ইজরায়েল। তাই গত দু সপ্তাহ ধরে আল শিফা হাসপাতালে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে সেদেশের ফৌজ। তাদের মুখপাত্রের পক্ষে বলা হয়, কমপক্ষে ২শো জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে হাসপাতালের ভিতরে। প্রাথমিকভাব অন্তত ৯শো জনকে আটক করা হয় তারমধ্যে ৫শো জনই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়াও হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বহু অস্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি। তবে হাসপাতালে থাকা অসুস্থ ব্যক্তি বা চিকিৎসক বা আমজনতার কোনও ক্ষতি হয়নি। অসুস্থদের জন্য ওষুধ ও জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

যদিও হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের দাবি, অন্তত ৩০০ জনকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আমজনতা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসকরাও। আল শিফা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় অন্তত ১৬ জনের। হাসপাতাল চত্বরেই তাঁদের কবর দেয়া হয়। কোনও মতে বেঁচে থাকা রোগীরা জানিয়েছেন, মোটেই চিকিৎসা হয়নি তাঁদের। উলটে ২৪ ঘণ্টা ধরে টানা বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতাল।

শুধু হাসপাতাল নয়, আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা মৃতদেহগুলোও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, আল সিফা হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকেই আটকে থাকতে পারেন। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ইজরায়েলি সেনার অভিযান শুরুর আগে অন্তত ৩০০০ জন ছিলেন আল শিফা হাসপাতালের ভিতর। তাঁদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান এখনও জানা নেই। কেবল পড়ে রয়েছে ভস্মীভূত হাসপাতাল।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ