বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও বাগানের ৪০ টি আমগাছ কর্তনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী জেসমিন খাতুন। তিনি দূর্গাপুর থানার মৃত আকবর আলীর মেয়ে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার সময় রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত অভিযোগে ভূক্তভোগী জেসমিন খাতুন জানান, তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমবাগান ও বসতবাড়ি রয়েছে। গত ০৭ জানুয়ারি শুক্রবার অনুমানিক দুপুর ১২ টার সময় দূর্গাপুরের ক্ষিদ্রলক্ষিপুরের মো. সাইদুল ইসলাম (৪৫) পিতা- মৃত মুনছুর মন্ডল, মো. মামুনুর রশিদ (৩৫), পিতা-মৃত ফয়েজ উদ্দীন, মো. জাহিদ হাসান পাইক (২০) পিতা- মো. মামুনুর রশিদ, মো. সুজন আলী (৩২) পিতা- মৃত আ. সামাদ, মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩২) পিতা- ইয়াদ আলী সাং- তিওরকুড়ি, মোঃ. রুবেল (৩০) পিতা- মো. আলেফ আলী, মো. রাজিব (৩০) পিতা- মোঃ নুরইসলাম, মো. শরিফুল ইসলাম (২৫) পিতা-মৃত জব্বার শাহ সাং- বেলঘরিয়া, মোঃ নুরইসলাম (৫২) পিতা-মৃত আঃ হক, মোঃ রনি (২২), মোঃ জনি উভয় পিতা- মো. আ. মান্নান উভয় সাং- বাজুখলসী, মো. রিপন (২৫) সামাদের জামাই, মোছা. জাহানারা (৫০), মোছা. জাহেদা (৪৮), মোছা. রজুফা (৪৫), মোছা. বিলকিস (৪০) উভয় পিতা-মৃত ডুমন মন্ডল, মোছাঃ শাহজাদি (৩০) স্বামী- মোঃ সাইনুল ইসলাম, মোছাঃ রাজিয়া (৩৮) স্বামী- মোঃ নুরইসলাম, মোছাঃ শাবনুর (২৫) স্বামী মো. সাইদুল ইসলাম, মোছা. শাহনাজ (২০) স্বামী-মোঃ শরিফুল ইসলাম ১৪৪ ধারা অমান্য করে জমির ফসল নষ্ট করে জমি জবর দখল করে নেয়। এসময় বর্ণিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র শাবল, দা, কুড়াল, হাসুয়া, রামদা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে।
এসময় আমি প্রাণের ভয়ে পলিয়ে আসলেও সন্ত্রাসীরা বাগানের ৪০ টি আম গাছসহ সুপারি গাছ কেটে ফেলে, আমার বসত বাড়ি ভাংচুর করে। যার ক্ষতির মূল্য ১০,০০০০ (দশ লক্ষ) টাকা। এদিকে তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে আমি ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দূর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ (৩৫) এর সাথে থানার এসআই সাকিবের সখ্যতা থাকার জন্য পুলিশ ঘটনাটির যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন। নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে ভূক্তভোগী দোষীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এসপিসহ সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।