মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বাড়ছে দুনিয়া জুড়ে। বাংলাদেশও প্রযুক্তিগত বিষয়ে উন্নয়ন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে তার প্রযুক্তিগত দিকটার যে উন্নতি সাধন করেছে তা পৃথিবীর অনেক অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। এশিয়ার বহু দেশ এখনও বাংলাদেশের ন্যায় তথ্য প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছাতে পারেনি। বিশ্বের বহু দেশের গণমাধ্যম তার প্রচার কাজ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে দিতে পারছে এদেশের প্রযুক্তির বিকাশের কারণে। সারা বিশ্বে ব্যক্তি মালিকানায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গণমাধ্যম। বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা গণমাধ্যমগুলির মূল লক্ষ হলো মুনাফা অর্জন করা। বিশ্বের মুক্তবাজার অর্থনীতির পণ্য বাণিজ্যের ন্যায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে গণমাধ্যমগুলির মাঝে। তাই গণমাধ্যমগুলির পরিবেশিত তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়টিও প্রশ্নবোধক হয়ে পড়েছে। শুধু মাত্র বিশ্বের বৃহদাকার গণমাধ্যমগুলিই না বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জাতীয়, আঞ্চলিক বা জেলা শহর ভিত্তিক গড়ে ওঠা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমগুলিও বস্তনিষ্ঠতার বিষয়টিতে মানুষ আস্থা রাখতে পরছে না। অনেক গণমাধ্যমের মুনাফা বা ক্ষমতাধর ব্যক্তিদেরকে তোষণের কারণে অনেক সত্য ঘটনা অপ্রকাশিত রয়ে যায়। এর ফলে অনিয়মের বা দুনীর্তির সঠিক চিত্র জনসম্মুখে প্রকাশ পায় না। এসব কারণে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। ইলেক্ট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের বিষয়ে অনেকেই মন্তব্য করতে শোনা যায়, এরকম ও অমুক টিভি বা পত্রিকার খবর ওরা তো অমুক রাজনৈতিক ভাবার্দশের বিশ্বাসী। এর অর্থ হলো তার মনে প্রচারিত তথ্যটি বিশ্বাসের দোদুল্যমানতা। সংবাদ সংক্রান্তসহ নানা বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে দেশি চ্যানেলের সাথে বিদেশি চ্যানেলের বা বিদেশি চ্যানেলের সাথে দেশি চ্যানেলের দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠে দর্শকরা। এভাবে বিদেশি চ্যানেল প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝে। আর বিদেশি চ্যানেলগুলোও বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্বিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এদেশে তাদের গণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষে সংবাদ পরিবেশ করছে। ফলে শুরু হয়ে যায় দেশী চ্যানেল গুলোর সাথে তাদের এক ধরনের প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় যারা প্রসারতা পায় তাদের ভাগ্যে জুটে বহু পণ্যের বিজ্ঞাপন। অনুরূপ ঘটনা ঘটছে বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানগুলির বেলায়। বাংলাশের সিংহভাগ দর্শক বিনোদনের জন্য দেখেন বিদেশি চ্যানেল। বিশেষ করে এই শ্রেণির দর্শক ভারতীয় চ্যানেলের উপর নির্ভরশীল। ভারতীয় স্টার জলসা,স্টার প্লাসসহ বাংলা এবং হিন্দি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চ্যানেলগুলির প্রচারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনায় সরব দেশের সর্বত্রই। চায়ের দোকানের আড্ডাবাজ থেকে শুরু করে টিভি চ্যানেলের নিশীকথকরা এর নেতিবাচক সমালোচনায় ব্যস্ত। বাস্তব অবস্থা নিরীক্ষণ করলে দেখা যাবে, এই সমালোচকরা আত্মপ্রবঞ্চক। কারণ নিশীকথকরাও চান তাদের প্রচার ও প্রসার, মুক্তবাজারের পণ্য বাণিজ্য প্রসারের ন্যায় তারও চান নিজেদের খ্যাতি। সম্প্রতি একটি নতুন বিশেষণ যোগ হয়েছে নিশী কথকদের নামের আগে তাহলো ‘টক শো ব্যক্তিত্ব’। বিদেশি যে কোন চ্যানেল এদেরকে ডাকলেই হুমড়ি খেয়ে পড়বে কথন করতে, জাতভেদ বিচার বিবেচনা করবে না। এরা চায় নিজের প্রচার। তবে এদের চেয়ে একটু উৎকৃষ্ট সমালোচক চায়ের দোকানের আড্ডাবাজরা। কারণ তারা ঘরে গিয়ে অনেকটা স্ত্রীর দেখার কাছে বাধ্য হয়ে ওই চ্যানেলগুলো দেখেন। বাংলাদেশে মুসলমান ধর্ম পালনকারী নারীদের মাঝে হিজাব বা বোরখা পড়ার সংখ্যা বেড়েছে। আবার এই নারীদের কাছেই স্টার জলসার প্রচারিত কিরণমালা সিরিয়ালটিও জনপ্রিয়। এই সিরিয়ালটির মুখ্য উপজীব্য হলো কাল্পনিক দৈত্যদানবের কথা যা অনেকটা সনাতন ধর্মের পৌরণিক কাহিনীর সাথে মিলে যায় কোন কোন অংশে। তবে ধর্মীয় প্রথা আর বিনোদনমুলক বিষয়টি এক না। দেশে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা বেড়েছে তা টিভি চ্যানেলের এ ধরনের অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হয়ে উঠাটাই তা প্রমাণ করে। কারণ যে কোন ধর্ম পালনকারী সাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার মানুষদের ধারণা আধ্যাত্মিক শক্তির আঁধার বলে কিছু একটা আছে। এটা তাদের মনস্তাত্বিক বিশ্বাস। সেখানে শুভ এবং অশুভ শক্তি রয়েছে যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। ওখানেও শুভ অশুভ শক্তির দ্বন্দ্ব বিদ্যমান বলে তাদের ধারণা। তাই যে কোন ধর্মের বলয়েই শুভ অশুভতার দ্বন্দ্বমূলক যে কোন অনুষ্ঠানই তাদের কাছে জনপ্রিয় হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের টিভি সিরিয়াল গুলির জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
দেশের মুল সংস্কৃতি এই বিদেশি চ্যানেলের আগ্রাসনের খপরে পড়ে মার খাচ্ছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি অধিক মুনাফার আশায় দেশিয় সংস্কৃতির ধারায় বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানগুলিতে বিদেশি ঢং এর প্রবেশও ঘটানো হচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হলো বিপিএল ক্রিকেট যা অনেকটা ভারতীয় ক্রিকেট আইপিলের আদলে গড়া। দেশের যে চ্যানেলটা এই টুনার্মেন্টের খেলাগুলি সম্প্রচার করে তারা ভারতীয় আইপিলের সম্প্রচারিত হওয়ার সাথে মিল রেখে সম্প্রচার করেছেন। ভারতীয় আইপিএল সরাসরি সম্প্রচারের মধ্যে কথন চলে ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের সাথে স্বল্প পোশাক পরিহিত এক নারীর। ঠিক বিপিএলের সম্প্রচারিত আয়োজনেও তা তারা করেছেন। এই বিষয়টি যে কেউ দেখলে বুঝবে এটা নকল এখানে সৃজনশীলতা নাই। মানুষ নকল বিষয়টা দেখবে কেন তাই মানুষ আসলটার দিকে ঝুঁকে। ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলার মীরাক্কেল নামে একটি হাসির প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠার প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। তার আদলে বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেল হাসির প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলেটির এই অনুষ্ঠানটির বিচারকদের কথা বলার ধরণসহ অনুষ্ঠানের সজ্জা উপস্থাপনের ঢং সবকিছু ভারতীয় চ্যানেলটিকে অনুকরণ করা হয়েছে। এত কিছুর পরও দেখা যায়, মীরাক্কেল বাংলাদেশে যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার সিকিভাগ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি এই হাসির অনুষ্ঠান। ফলে দেখা যায়, অনুকরণ করা অনুষ্ঠান না দেখে মূল অনুষ্ঠানের দিকে দর্শকরা ঝুঁকে পড়ে এই কারণে ভারতীয় চ্যানেলগুলির দিকে মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে। একটু চিন্তা করলে বুঝা যায়, পরোক্ষভাবে দেশি চ্যানেলগুলিই দর্শকদের বিদেশি চ্যানেল দেখার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশি একটি টিভি চ্যানেল বিদেশি একটি সিরিয়াল ডাবিং করে দেখায়। এই সিরিয়ালটি দেখানোর মাধ্যমে চ্যানেলটির জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। সিরিয়ালটি অটোম্যান সা¤্রাজ্যের সম্রাট সুলতান সুলেমানের ঐতিহাসিক কাহিনীকে কেন্দ্র করে। সিরিয়ালটির নামাকরণও হয়েছে অটোম্যান স¤্রাট সুলতান সোলেয়মানের নামানুসারে। সিরিয়ালটিতে মুখ্য উপজীব্য বিষয় হলো, সুলতান সুলমানের বীরত্বের সাথে রাজ্য জয়ের কথা। মুসলিম শাসক হিসাবে তার মহানুভবতা, প্রজা হৈতিষীয়তা এবং দুঃখীদের প্রতি সেবা সহ একজন প্রজাসেবক রাষ্ট্রক নায়ক হিসাবে। তাছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামিক আইন প্রণয়নে তার ভূমিকাটি এই সিরিয়ালে দেখা যায়। তবে সিরিয়াটিতে নারী চরিত্রগুলিকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে মনে হয় নারীরা পণ্যের চেয়েও নিকৃষ্ট। নারীদেরকে দাসী করে রাখা হয়েছে প্রাসাদের অভ্যন্তরে। দাসীরা সুলতান এবং তার পুত্রদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যস্ত। দাসীর সাথে যৌন মিলনের ফলে সন্তান হয়ে গেলে তাকে দেয়া হয় স্ত্রীর স্বীকৃতি। এধরনের অনৈতিক অবাধ যৌনাচার বিষয়টি শৈল্পিক কায়দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে আর নারী চরিত্র গুলিকে দেখানো হচ্ছে একমাত্র যৌন উপাদান হিসাবে। বিবাহ বর্হিভুতভাবে রাজা যৌনাচারে লিপ্ত হলেও তা ধর্মীয প্রথার ব্যত্যয় ঘটায় না। এই সিরিয়ারটি নারীর অধিকার ও নারীর মর্যাদার বিষয়টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ করছে। তবে ১৫শ শতাব্দিতে নারীর সামাজিক অবস্থান এবং অধিকার কতটুটু ভোগ করতো তা ফুটে উঠেছে সিরিয়ালটিতে।
টিভি চ্যানেল মালিকরা বিদেশি চ্যানেলসহ বিদেশি সংস্কৃতি এবং বিদেশি অনুষ্ঠান যাতে বাংলাদেশে প্রচারিত না হয় এ বিষয়টি আন্দোলন করছেন। বিদেশি সিনেমা নাটক বা অনুষ্ঠান যেভাবে বর্তমানে এদেশের মানুষ দেখছে তা সরকারিভাবে বন্ধ করে দিলে কি দেখা বন্ধ হয়ে যাবে? বিষয়টি এভাবে ভাবা ঠিক না। মানসম্মত অনুষ্ঠান তৈরি করতে না পারলে বিদেশি অনুষ্ঠানের অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব না। আশির দশকে অবৈধভাবে ভিসিআর প্রদর্শন শুরু হয়েছিল। কারণ আইন করে বন্ধ করলেও দেখা যাবে ভিন্নভাবে তা এদেশে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের টিভি সিরিয়ালও দেশের বাইরে ওই দেশিয় ভাষায় ডাবিং করে প্রচারিত হয়। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের আজ রবিবার নাটকটি ভারতীয় চ্যানেল স্টার প্লাস হিন্দিতে ডাবিং করে প্রচার করছে। বাংলাদেশে প্রায় অর্ধশত টিভি চ্যানেল রয়েছে। এত ব্যাপক গণমাধ্যমের প্রসার বিগত কোন সরকারের আমলে ছিল না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এত চ্যানেল কেন ভারতীয় চ্যানেলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে আর কেনই বা তাদের বিদেশি ডাবিং করা অনুষ্ঠান প্রচার করতে হয় তাও দেখার বিষয়। বর্তমানে বিটিভি থেকে প্রচারিত হয় ইত্যাদি নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানটি ১৯৮৮ সাল থেকে প্রচারিত হচ্ছে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এর কোন জনপ্রিয়তার ঘাটতি হয়নি। মানসম্মত অনুষ্ঠান তৈরি করতে পারলে বিদেশি চ্যানেলের উপর দর্শকদের নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
আরেকটি বিষয় লক্ষ করা যায়, কিছু বামসহ দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক এবং বুদ্বিজীবীরা বলে যাচ্ছেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে। তাদের ভাষায় গণমাধ্যমগুলি নিরপেক্ষভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না। এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করায় কিছু গণমাধ্যমের সম্প্রচার সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ হওয়া গণমাধ্যমগুলি স্বাধীনতা বিরোধী আদর্শ লালন করতো। নিরপেক্ষতার অর্থ কি এইÑ৩০ লক্ষ শহিদ আর ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে পাক আদর্শিক গণমাধ্যমের সম্প্রচারের অনুমোদন দেয়া। অনেকই নানা তাত্ত্বিককতার মধ্য দিয়ে এ ধরনের নিরপেক্ষ রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান। তারা আসলে কোন আদর্শের বিশ্বাসী ? তারা যে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা বিরোধী তাই প্রমাণ হয় তাদের বক্তব্যে। পাক আদর্শিক রাজনৈতিক দল বা গণমাধ্যমগুলিকে অবাধে বিচরণ করতে দেয়াকে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বলা যাবে না। বিদেশি চ্যানেলে অনুষ্ঠান আর স্বাধীনতা বিরোধী মতাদর্শের গণমাধ্যমকে এক করে ফেলাটাও উচিত নয়। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী মতাদর্শের সকল রাজনৈতিক এবং গণমাধ্যমের কর্মকা- নিষিদ্ধ করা জরুরি।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক দলগুলির রাজনীতি অনুশীলন করা উচিত। সাম্প্রদায়িক স্বাধীনতা বিরোধী মতার্দশের রাজনীতি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। রাজনীতির মত প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। তাই গণমাধ্যম এবং রাজনীতির অনুশীলন একটি সম্পূরক বিষয় । তাই বিদেশি টিভি চ্যানেলের আগ্রাসন রোধ করা যাবে তখনই যখন দেশের রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতি অঙ্গনে সঠিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার চর্চা করা হবে।
লেখক:- কলামিস্ট