মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
ইমরান খান ও পাক সেনার মধ্যে চলতে থাকা টক্করের মধ্যে ক্রমেই পাকিস্তানের দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। কেননা সেদেশে প্রায় গৃহযুদ্ধের মতো আবহ এবং তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ না হওয়ায় প্রায় মুখ ফিরিয়েছে আইএমএফ। এহেন পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ পাকিস্তানের কাছে আরজি জানান, আগে দেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য।
সাধারণ কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না আইএমএফ। কিন্তু এবার তারা কার্যতই নিয়মভঙ্গ করে শাহবাজ শরিফ প্রশাসনের কাছে এই আরজি জানিয়েছে। আসলে গত বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইনে আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে আইএমএফ মিশন চিফ নাথান পোর্টার জানিয়েছেন, ”আমরা লক্ষ্য রেখেছি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির দিকে। আমরা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়ে কথা বলি না। আমাদের আশা, এই বিষয়ের কোনও শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। এবং তা হবে সংবিধান ও আইনের শাসন মেনে।”
তাঁর এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, পাকিস্তান যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না ফেরাতে পারে, তবে তাদের সাহায্য করা সম্ভব হবে না আইএমএফের পক্ষে। সম্প্রতি পাকিস্তান দাবি করেছে, ঋণ দেওয়ার জন্য ওগঋ যা যা শর্ত দিয়েছিল, সব তারা মেনে নিয়েছে। আবার আইএমএফ বলছে, পাকিস্তানের এই দাবি ভুয়ো। এখনও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা বাকি। এই পরিস্থিতিতে এই আরজি জানাতে দেখা গেল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারকে।
৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পরেই দেশজুড়ে তাণ্ডব চালায় তেহরিক-ই-পাকিস্তানে (পিটিআই) সমর্থকরা। তার পরে হাজার হাজার পিটিআই কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক করা হয় ফাওয়াদ চৌধুরী-সহ বেশ কয়েক জন প্রথমসারির পিটিআই নেতাকেও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো টালমাটাল। বিশ বাঁও জলে ইমরান খান। এহেন চাপের মুখে অবিলম্বে সরকারের সঙ্গে আলোচনার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ইসলামাবাদের সাফ জবাব, দেশজুড়ে হওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় ইমরান ক্ষমা চাইলে তবেই আলোচনা সম্ভব হতে পারে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন