সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
কোনও আভাস না দিয়ে, হুট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে চলছে আলোচনা। সতীর্থ থেকে শুরু করে ভক্তরা ‘নড়াইল এক্সপ্রেসে’র সিদ্ধান্তে মর্মাহত। মাশরাফি অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তে অটল। তার কাছে দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় আর কিছুই নয়।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে বাংলা ট্রিবিউনের এই প্রতিবেদককে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি এত চিন্তা করে কাজ করি না। ওয়ানডে এখনও উপভোগ করছি। বোর্ড যখন আমাকে অধিনায়ক করেছিল, তখন ইচ্ছা ছিল দলটাকে গড়ে তোলার। কতটা পেরেছি জানি না, তবে দেশের হয়ে খেলা সত্যিই দারুণ সম্মানের। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলাম। শেষ ম্যাচেও অধিনায়কত্ব করব, এরপর আমার আর চাওয়ার কিছুই নাই।’
তার সরে যাওয়া তরুণদের দারুণ সুযোগ করে দেবে বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘দলে কিছু নতুন খেলোয়াড় আসছে, প্রথম ম্যাচে সাইফউদ্দিন যেমন এসেছে। একটা জায়গা ফাঁকা হলে ওরা আরও স্বাধীনতা নিয়ে খেলবে। সামনে ২০১৯ বিশ্বকাপ আছে। ওরা উন্নতি করার জন্য আড়াই বছর সময় পাবে।’
টি-টোয়েন্টি কখনোই তার পছন্দের ক্রিকেট নয়। এ কথা বহুবার বলেওছেন মাশরাফি। তার কাছে আসল খেলা টেস্ট। কিন্তু ইনজুরি তাকে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আপাতত তার সমস্ত পরিকল্পনা দ্বিতীয় পছন্দ ওয়ানডে ক্রিকেটকে ঘিরে, ‘আমি কখনও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট উপভোগ করিনি। আমি পাঁচটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, কিন্তু কখনও উপভোগ করিনি। হয়তো আমার চোটের কারণে। এখানে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায় না। তারপরও আমি খেলে যাচ্ছিলাম। কারণ ক্রিকেট বোর্ড চাইছিল, আমি যেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করি।’
উপভোগ না করলেও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়ের মুহূর্তে বেশ সন্তুষ্ট মাশরাফি, ‘আমি এই দলটাকে গড়ে তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কতটা পেরেছি জানি না, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, দেশের হয়ে খেলা, দারুণ কিছু সতীর্থকে পাওয়া খুব আনন্দের ব্যাপার।’-বাংলা ট্রিবিউন