শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নাজিম খোকন:
গভীর রাতে খঞ্জনা বাজিয়ে কে চলে যায়
তার মতো করে। কান খাড়া হয়ে যায়
উন্মুক্ত হৃদয়ে, পরিপার্শ্বে কতশত জন
জানেনা তারা কিছু
আহাম্মক টেবিল-চেয়ার আসবাবপত্র
বইপত্র রেখা ও লেখার কাগজ লজ্জা পেয়ে
অন্ধকারে মুখ লুকায়। ফুসফুসে যন্ত্রণা হয়,
হাপরের টান ওঠে, খঞ্জনা বেজে যায়
সব মিলেমিশে একাকার আনন্দ বেদনার
স্মৃতি ভারাক্রান্ত অমিয় নিশীথ বেলায়
কে যায়, কাকে ডেকে যায় অমন পাগল প্রণয়
নিঃস্তব্ধ অথচ খঞ্জনীর আওয়াজ শুধু এই কানে
দূরের মেঘমল্লার গানে,
অপশৃয়মান অপমান করে যায় লহরে প্রহরে
জানি তার অক্ষমতা বৃত্তায়নে বাঁধা
আসতে পারেনা মাধুকরি নিয়ে নিঃস্বের দুয়ারে
কতবার প্রার্থনার আওয়াজ ভালো লাগে
শব্দদূষণের বিরুদ্ধ বাতাসে
তবুও শিস্ দিয়ে ডেকে যায় পথিক পবন
বারংবার খঞ্জনার মূহূর্মুহু ব্যাঞ্জনায়
আকাশের ওপারের আকাশের থেকে
কি সন্ধানে মূর্তমান দেহ হয়ে কোলেতে লুটায়
বিরক্তির অনুপ্রাসে, হয়তবা সেও প্রোথিত গ্রোথিত
এইখানে সবুজারণ্যে, তাই কেঁদেকেটে বার বার
বাড়ায় হাত, দূরাচার গগন প্রদোষে
এবং উষ্মরাগের মহিমায় ঢেলে দেয়,
তহবিল কোলের উপরে
এবং বলে এই টুকুই এই শেষ
অতঃপর ধীর লয়ে প্রণয়ের অসুখে
অযু সেরে প্রার্থনা করে অনভ্যেস বসে আর নয়
এই হোক শেষ অধ্যায়, অধবা অলক্ষ্যে মুখ ঢেকে
কাঁদে চাঁদের জোছনায়। খঞ্জনা বেজে যায়
নিশিথের প্রহরের জ্যোৎস্না আলোকিত তুমুল ব্যথায়
সেই ব্যথা যদি শেষ হয় সকালের সূর্যে
প্রাণে মানে বেঁচে যাই
দূর হয় অযাচিত এই কদর্য অধ্যায়
তারপর রিমঝিম বর্ষামঙ্গল
খঞ্জনী বেজে যায় অবিরল তন্ময়
এরচেয়ে আর কিছু নয়
হয়ে যাবে সবই বাক্সময়
এটুকু বলার স্পর্ধা। সংরক্ষণ করি
যতদিন পৃথিবীর পরে মৃতের ওপারে মুখ না লুকাই