সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভোট শেষে স্বস্তি
অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়াটা সন্তোষজনকই বটে। ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের বড় প্রভাব নির্বাচনে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হয়নি। নির্বাচনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা চালিয়েও ভোট-উৎসব ঠেকানো যায়নি। অন্তত ৪০ শতাংশ ভোটার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। আতঙ্ক-ভীতি ছড়ানোর কারণ না থাকলে ভোট প্রদানের হার যে বৃদ্ধি পেতো তা বলাই বাহুল্য।
বলাই যায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে। সরকারের অবস্থানও একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল- তারা তা রক্ষা করতে পেরেছে। ভোট যে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে তা বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও স্বীকার করে নিয়েছেন। ভোটের পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষক একটি দল। তারা বলছেন, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের ডেপুটি হেড অব মিশন ইউএস এসটিও টেরি এল ইসলে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (বেলা ২টা) ভোটের পরিবেশ ভালো। মানুষ ভোট দিতে আসছে। সব কিছু ভালো মনে হয়েছে। আশা করছি শতকরা ৫০ ভাগ ভোট পড়বে। আর আমরা যে কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি, সেগুলোতে সেই অর্থে কোনো ত্রুটি চোখে পড়েনি।’
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সারা দেশে ৩৭টি অনিয়ম ও গোলযোগের ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। জাল ভোটের অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৬ জনকে। অনিয়মের কারণে বরগুনায় একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এক নৌকা প্রতিকের এক প্রার্থীর প্রার্থীতাও বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন শক্ত হাতেই ভোট কার্যক্রম পরিচালনা করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।