রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরতেই হবে
দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বাজার পরিস্থিতি মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সীমিত আয়ের সমানুষের কষ্ট হচ্ছে। সে দিকে লক্ষ্য রেখে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গৃহীত পদক্ষেপেরও উল্লেখ করেন। পারিবারিক কার্ডে স্বল্পমূল্যে চালসহ অন্যান্য পণ্য কেনার সুযোগের কথা বলেন। হতদরিদ্রদের বিনামূল্যে চাল দেয়ারও উল্লেখ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কথা বলেছেন। এবং তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণের তার সরকারের প্রচেষ্টার কথাও বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের মানুষ আশ্বস্ত হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরো বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলেও আমরা মনে করি।
বিগত দিনে বাজার সিন্ডিকেশন করে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বাড়ানোর নিষ্ঠুর প্রবণতাও লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও সেটি লক্ষ্য করা যায় নি। সিন্ডিকেট করে বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং স্থিতিশীল বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে খুব বেশি এগোনো যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) তথ্য দিয়েছে , দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ হয়েছে। মূল্যস্ফীতির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ অসুবিধায় রয়েছে। আবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ হয়েছে। মার্চে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
দ্রব্যমূল্য যে বাড়তির দিকেই তা বলাই বাহুল্য। যে পণ্যের দাম বাজারে বাড়ে তা আর পূর্ব দরে ফিরে না। এ ক্ষেত্রে বাজারের উলম্ফন প্রবণলতার রাশ টেনে ধরার উদ্যোগ থাকতে হবে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রুখতেই হবে। এর জন্য সিন্ডিকেশন করে দাম বাড়ানোর যে অশুভ তৎপরতা চলে সেটা কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।