ধমক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোন কেটে দিলেন ট্রাম্প

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ অস্ট্রেলিয়ারপ্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত সপ্তাহান্তের ফোনালাপ হৃদ্যতাপূর্ণ না হয়ে বরং উল্টোটাই হয়েছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে একরকম ধমকের সুরেই ফোন কেটে দিয়েছেন ট্রাম্প।
একটি শরণার্থী চুক্তি নিয়ে দু’নেতার মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে চুক্তিটি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল।
শনিবার তার সঙ্গে ফোনালাপকালে ট্রাম্পের বিরোধ বাধে এ চুক্তিকে কেন্দ্র করেই।
তাদের ফোনালাপ এক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২৫ মিনিটের মাথায় আচমকা ফোন রেখে দেন ট্রাম্প।
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ জানায়, আলাপের এক পর্যায়ে টার্নবুলের মুখের ওপর ট্রাম্প বলে দেন যে, তিনি একইদিনে অনেক বিশ্ব নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত এটিই হচ্ছে তার কাছে সবচেয়ে ‘জঘন্য’ ফোনালাপ।
দু’নেতার এ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে সংশয়ের মুখে পড়ে শরণার্থী চুক্তিটি। এচুক্তি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঠানো ১২৫০ শরণার্থীর যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হওয়ার কথা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এসব শরণার্থীকে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদেরকে নাউরু ও পাপুয়া নিউ গিনির মত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর উপকূলীয় আটককেন্দ্রে আটকে রেখেছে।
ট্রাম্প গত শশুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ দেন। এরপর তার সঙ্গে ফোনলাপে শরণার্থী চুক্তিটির ভবিষ্যৎ কি সে ব্যাপারেই পরিষ্কার হতে চাইছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। আর এতেই রেগে গিয়ে ওই প্রতিক্রিয়া দেখান ট্রাম্প। তবে পরে ট্রাম্প এক ট্যুইটে চুক্তিটি নিয়ে প্রশ্ন করলেও এটি পড়ে দেখবেন বলে জানান।
ট্যুইটে ট্রাম্প লেখেন, “আপনাদের বিশ্বাস হয়? অস্ট্রেলিয়া থেকে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসী নিতে রাজি হয়েছিল ওবামা প্রশাসন। কেন? এই নির্বোধ চুক্তিটি আমি পড়ে দেখব।”
ট্রাম্প প্রশাসন পরবর্তীতে জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে ১২৫০ শরণার্থী নেবে। তবে তাদেরকে নেওয়া হবে চুলচেরা যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে।- বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ