শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
ধামইরহাট প্রতিনিধি
শীত যখন বাড়ছে সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন গাছিরা। শীতের শুরু থেকে পুরো মৌসুম জুড়ে খেজুর রস সংগ্রহ করে সুস্বাদু গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা। বাজারে খেজুর গুড় বিক্রি বেড়ে গেছে। সারা বছর অযত্বে অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রাম গঞ্জের খেজুর গাছের কদর বেড়েছে। স্থানীয় ছাড়াও জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা। তারা নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে আবার কেউ কেউ নির্দিষ্ট পরিমান খেজুর গুড় দেয়ার চুক্তিতে পুরো মৌসুমের জন্য গাছ লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ এবং সেই রস থেকে গুড় তৈরি করছেন।
উপজেলার ধামইরহাট, আগ্রাদ্বিগুন, আলমপুর, আড়ানগড়, ইসবপুর, খেলনা, জাহানপুর, উমার ইউনিয়নে প্রচুর সংখ্যক খেজুরগাছ লক্ষনীয়। এসব এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে, জমির আইলে, রাস্তার পাশ্বে, পতিত জমিতে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা যায়। বর্তমানে এসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খেজুর বাগান গড়ে তুলেছেন। নওগাঁ জেলার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খেজুর চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদ আলাল হোসেন জানান। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত এই চার মাস খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা যায়। এ সময় রস থেকে গুড় তৈরি হয়। কনকনে শীতে বাড়ির আঙিনায় রোদে বসে খেজুরের রস পান করা গ্রাম বাংলার মানুষের ঐতিহ্য। একইভাবে সন্ধাকালীন সময়ে গ্রামীণ পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে ওঠে। গাছিদের মধ্যে এখন প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ করা যাচ্ছে। তারা রস থেকে লালি, গুড় ও পাটালি তৈরি করছেন। যার স্বাদ ও ঘ্রাণ মানুষকে খুবই আকৃষ্ট করে। গ্রামাঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি হয় পিঠা, পুলি ও পায়েস। চলে উৎসবের আমেজ। ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকরহমত গ্রামের গাছি ইউছুব আলী বলেন, আমি এবার শীতে ৩০টি গাছের রস অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছি এবং রসও ভালো হচ্ছে।