নওগাঁয় শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ৮:১৪ অপরাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি


নওগাঁ আস্তান মোল্লা কলেজের শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে কলেজের পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ মো: মাহবুবুল ইসলামের দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শাহিনা আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

এসময় তিনি অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলামের দায়িত্বহীন, অদক্ষ, অনভিজ্ঞ, স্বেচ্ছাচারী ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এবং অফিসের আলমারির চাবি না দেওয়ার কারণে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের যে অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। অধ্যক্ষের কক্ষে নির্মাণ করা গোপন ঘরের আলমারির চাবী হস্তান্তর না করার কারণে সেখানে সংরক্ষণ করে রাখা শিক্ষার্থীদের সনদপত্র, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্তসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে প্রশাসনের চাপে পড়ে মাহবুবুল ইসলাম এসে কিছু কাগজপত্রাদি বের করে দিলেও কলেজের রেজুলেশন বই না দেওয়ার কারণে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অনার্স পর্যায়ে ১২ জন, ল্যাব সহকারী ৪ জন এবং নৈশ প্রহরী ১ জন নিয়োগ দেয়া হয়। মোট ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এ ছাড়াও মনগড়া ভাবে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ, কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় খরচ করে এসেছেন। এসব খরচের মনগড়া খরচের ভাউচার সংরক্ষণ করে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২১আগস্টে মো: মাহবুবুল ইসলাম অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করলেও তিনি অফিসের চাবি অফিসে ফেরৎ না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এতে অফিসের কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভেতরে আটকা থাকায় শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পদোন্নতি, টাইম স্কেল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান সম্ভব হচ্ছে ন। ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কলেজের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রাদি উইপোকা নষ্ট করেছে।

তাই দ্রুতই আলমারির চাবী ফেরতসহ মাহবুবুল ইসলামের সকল অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। তা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়। এসময় কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

নিজেকে এখনোও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দাবী করে মাহবুবুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান যে, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তারাই আমাকে কলেজে যেতে দিচ্ছে না।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ