বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পত্নীতলা প্রতিনিধি:
নওগাঁয় চলতি মৌসুমে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের বেঁধে দেওয়া ২২ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। ওইদিন থেকে গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। জেলায় এবার আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, চলতি বছর নওগাঁয় ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে, যা থেকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আম্রপালি, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারিসহ দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ হয়েছে।
প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, এই মৌসুমে ২২ মে গুটি জাতের আম, ৩০ মে থেকে গোপালভোগ, ২ জুন ক্ষীরসাপাত/হিমসাগর, ৫ জুন নাকফজলি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২০ জুন আম্রপালি, ২৫ জুন ফজলি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি-৪, গৌড়মতি ও কাটিমন আম সংগ্রহ করা যাবে।
জেলার সাপাহার উপজেলাতে অবস্থিত বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা জানান, তার প্রায় ৭৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান রয়েছে। কৃষিচর্চা অনুসরণ করে বাগান করা হয়েছে।
জেলার পত্নীতলা উপজেলার শাশইল গ্রামের আমচাষি মানিক হোসেন বলেন, এবারও আশায় আছি আমে লাভ হবে। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ে আমরা বাজারে আম নিয়ে হাজির হবো।
সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আমচাষি নূর বলেন, আমচাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাগানের পরিমাণ। আমের মুকুল থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত বিঘাতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। তবে এ বছর খরায় আরো ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়। অপেক্ষার প্রহর শেষ, কিছুদিনের মাঝে আম বাজারজাত করা হবে। গাছে আমের পরিমাণ কম হলেও দাম ভালো পেলে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর নওগাঁ থেকে ২২০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। আর বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এবার নওগাঁ থেকে আমাদের টার্গেট মিনিমাম ৫০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করবো। এ উপলক্ষে আমরা কাজ করছি। এজন্য যারা বিদেশে আম রপ্তানি করেন তাদের নিয়ে এসে বিভিন্ন জাতের উন্নতমানের আম রয়েছে এমন বাগানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছি। চলতি মৌসুমে নওগাঁয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হতে পারে।