নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ৯:২২ অপরাহ্ণ


নওগাঁ প্রতিনিধি:


নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট। গত দু’দিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ কিছুটা কম। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলচল করছে।

উপজেলার সিম্বা গ্রামের কৃষক রাজ্জাক বলেন, গত দুইদিন কুয়াশা কম ছিলো। আজকে আবারো এত পরিমান কুয়াশা পড়েছে কোন কিছু দেখা যাচ্ছে না। এর কারনে খুব ঠান্ডা পড়েছে। আজকে প্রচন্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে।

চকউজির গ্রামের ভ্যান চালক শেখ হাফিজ বলেন প্রচন্ড শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বাহিরে খুব কম লোকজন বের হচ্ছেন তাই আমাদের আয় কমে গেছে। লোকজনরা জরুরী কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছেন না। ফলে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোতে যাত্রী কমে গেছে। এতে করে অনেকটাই কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি পর্যবেক্ষণাগার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা জানান, শীতের শুরু থেকেই শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া দিন আনি দিন খাই শ্রেণির নিম্ম আয়ের মানুষদের মাঝে খাবার সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে। যতদিন এমন দুর্যোগ অব্যাহত থাকবে ততদিন সরকারের পক্ষ থেকে এমন সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।