নওগাঁয় অরক্ষিত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ১০:০৫ অপরাহ্ণ


নওগাঁ প্রতিনিধি:


নওগাঁর রাণীনগরে একটি নিরাপদ প্রাচীরের অভাবে কুজাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অরক্ষিত। ১৯৯৫ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়ের নিম্ন মাধ্যমিক শাখাটি এমপিও হলেও এমপিও হয়নি মাধ্যমিক শাখা। তবু অনুমতি নিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালাতে থাকছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বেল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ২৬৮জন। প্রতিদিন গড়ে ২ শতাধিক শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ করে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন খেলাধুলা ও অন্যান্য শিক্ষা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দক্ষতার ছাপ রেখে আসছে। খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলেও মেধার পরিচয় দিয়ে আসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিদ্যালয়ে এসে খোলা মাঠের কারণে নিয়মিত খেলার চর্চা ও খেলাধুলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের তিনদিকে নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে খোলা মাঠে খেলাধুলার চর্চা করতে পারে না।

এছাড়া চারপাশ খোলা থাকায় বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য খেলাধুলার নিয়মিত আয়োজন করাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। নতুন ভবনে বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষের অভাব দূর হলেও একটি নিরাপদ প্রাচীরের অভাবে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের সময়ের সঙ্গে এগিয়ে নিতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সাংসদ আশ্বাসবানী শুনালেও আজ পর্যন্ত একটি নিরাপদ প্রাচীর জোটেনি বিদ্যালয়ের কপালে। আর নিরাপদ একটি পরিবেশ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলার জগতে মেধার ছাপ রাখা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর। এছাড়াও বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীসহ সবকিছুর প্রতি কঠোর নজরদারী রাখতে হয় যা খুবই কষ্টসাধ্য একটি কাজ।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহরাত ইয়াসমিন, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদাসহ অনেকেই বলে ক্লাসের অবসর সময়ে তারা ইচ্ছে করলেও বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে এসে খেলার চর্চা করতে পারে না। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে কোন প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের অরক্ষিত মনে করে। তাই বিদ্যালয়ের চারপাশে যদি একটি নিরাপদ প্রাচীর নির্মাণ করা হতো তাহলে আমরা মেয়েরা অনেক উপকৃত হতাম এবং খেলাধুলার জগতে আরো সুনাম ছড়ানোর সঙ্গে সঠিক মেধা বিকাশ করতে পারতাম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন প্রেরণ করবো।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ