শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নওগাঁ প্রতিনিধি :
নওগাঁর পত্নীতলায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় গোলাম মোস্তফা (৬৫) নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার কাস্টবই গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে। পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুরে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন-সাপাহার সড়কের শিহাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটলে সুরত আলী (৫৫) নামে এক গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি পরাণপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, সাপাহার উপজেলা সদর থেকে একটি ওষুধ কোম্পানির কাভার্ডভ্যান মালামাল নিয়ে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বাজারে যাচ্ছিলো।
দুপুরের দিকে কাভার্ডভ্যানটি উপজেলার শিহাড়া মোড় এলাকায় একটি বাঁক ঘুরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাম পুলিশ সুরত আলীকে চাপা দিয়ে একটি পানের দোকানের ভেতর ঢুকে যায়। এতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং চায়ের দোকানদারসহ দোকানের ভেতরে থাকা তিনজন গুরুত্বর আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আহত গোলাম মোস্তফা ও ছমির উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে আহত গোলাম মোস্তফার মৃত্যু হয়।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে এর চালক ও সহকারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের জন্য তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে পতœীতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।