বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ শহরে এক ব্যক্তির সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের কোমাইগাড়ি দেওয়ানপাড়া মহল্লায় পুকুর খননের এই প্রচেষ্টা চলছে। সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জমির মালিক আনোয়ার হোসেন এক লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেছেন। কোমাইগাড়ি মৌজায় অবস্থিত তার জমির খতিয়ান নম্বর ২১৯০, জে এল নম্বর ১২২, দাগ নম্বর ১০২৭ ও ১০২৯ ।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন জানান, দেওয়ান পাড়ায় তিনি তার শ্বশুর আব্দুস সালামের নিকট থেকে ২০০৬ সালে ৮ শতক জমি ক্রয় করে ৬ শতকের উপর বাড়ি নির্মাণ করেন। অবশিষ্ট ২ শতক জমির উপর টয়লেটের হাউজ, একটি বড় জলপাই গাছ, একটি বড় রেন্ট্রি কড়ই গাছ, একটি আমগাছ, একটি বেল গাছ, দুইটি পেয়ারা গাছ, একটি মাল্টা গাছ এবং কিছু সুপারি গাছ রয়েছে।
ওই জমির পাশে একই গ্রামের মৃত মোশারফ দেওয়ানের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান, মনোয়ার হোসেন, মিনহাজ হোসেন এবং মৃত মোহসীন দেওয়ানের ছেলে ফরহাদ হোসেন একটি পুকুর খনন করার উদ্যোগ নেয়। পুকুর খনন করতে তারা আনোয়ার হোসেনকে উক্ত দুই শতক জমি ছেড়ে দিতে বলে।
আনোয়ার হোসেনকে উক্ত সম্পত্তির বিনিময়ে অংশিদার হিসেবে খাকতে অনুরোধ করে। কিন্তু তিনি রাজী না হওয়ায় গত ১৭মার্চ ভেকু মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক তার জমি খনন এবং গাছপালা কেটে ফেলতে শুরু করে। বাধা দিলে তারা আনোয়ার হোসেনকে এলোপাথারী মারপিট করে । এতে তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এ সময় তার স্ত্রী দেওয়ান সেলিনা ইয়াসমিন সদর থানায় ১৭ মার্চ তারিখেই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধসহ আইনগত সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা এই ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ১৯ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সেখানেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ২১ মার্চ নওগাঁর ১নম্বর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ডিবি পুলিশকে মামলাটির তদন্তভার দেন। কয়েকদিন কাজ বন্ধ রাখার পর ২৬ মার্চ তারা পুনরায় পুকুর খনন কাজ শুরু করেছে।
নিজস্ব জমি হওয়া সত্ত্বেও উক্ত আনোয়ার হোসেন তার সম্পত্তি রক্ষা করতে পারছেন না। এই ব্যপারে আনোয়ার হোসেন পুলিশ প্রশাসনসহ সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি তার সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়সাল বিন আহসান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় এখন বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ারে চলে গেছে। এখানে এখন পুলিশের কিছু করার নেই।