নওগাঁয় বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ কম্পিউটার হারানোর এক বছরেও কর্তৃপক্ষকে জানানো কিংবা জিডি হয়নি

আপডেট: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ১২:১১ অপরাহ্ণ


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজড করতে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি বিশেষ প্রকল্প হচ্ছে বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন নিজের বিদ্যালয়েই কম্পিউটার ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারে এবং বিদ্যালয়ের সকল কাজ ওই ল্যাবের কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট ভাই শহিদ শেখ রাসেলের নামেই প্রকল্পটি স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সেই বিশেষ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও স্থাপন করা হয় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। বিদ্যালয়ে ল্যাবটি স্থাপন করার পর উচ্চমূল্যের ১৭টি ওয়ালটন ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। চুক্তি অনুসারে এই ল্যাবের সব উপকরণ নিয়োগকৃত শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের সকলকে হেফাজত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বরে বিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার হারিয়ে যায়। আনুমান ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপটি হারানোর এক বছরের অধিক সময় পার হলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কাউকেই বিষয়টি জানাননি। এমনকি থানায় একটি জিডিও করেননি। প্রধান শিক্ষকের এমন দায়িত্বহীনকাণ্ডে বিস্মিত সংশ্লিষ্টরা।

শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বাইরের কোনো চোর ল্যাব থেকে ল্যাপটপ চুরি করেনি। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের কোনো ব্যক্তি এটি করেছে। তাই বিষয়টি তিনি গুরুত্বসহকারে নেননি। সরকারি সম্পদ হারানোর পর যে আইনের আশ্রয় নিতে হয় কিংবা সঙ্গে সঙ্গেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়, সে বিষয়টিও তার জানা ছিলো না।

এছাড়া ল্যাপটপ হারানোর পর নানা জটিলতার কারণে কী পদক্ষেপ নিতে হবে তাও তিনি ভুলে গেছেন। সম্প্রতি তিনি ল্যাপটপ হারানোর বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বিদ্যালয়ের কেউ এখন পর্যন্ত বিষয়টি তাকে জানায়নি।

আপনার (সাংবাদিক) মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পারলাম। একজন বিদ্যালয় প্রধান এমন দায়িত্বহীন কাজ কেমন করে করতে পারেন তা ভাবনাতেও আসছে না। সরকারি কোনো জিনিস হারালে অবশ্যই তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুসারে পরবর্তিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজে সত্যিই আমি বিস্মিত। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।