শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
এমআর রকি, নওগাঁ
নওগাঁর ব্যস্ততম সড়ক দুবলহাটির দুইপাশে চামড়া কেনাবেচা ও প্রক্রিয়াজাত করার ফলে দুর্গন্ধ ও তীব্র যানজটে ভোগান্তি পোহাচ্ছে হচ্ছে শহরবাসীদের। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দুইপাশে প্রতিদিন কাচা চামড়া কেনা সহ গুদামে রাখা চামড়ার বর্জ্য দূষনে অতিষ্ট এলাকাবাসী। পৌরসভা থেকে দুইবার চিঠি দেয়া হলেও চামড়া আড়ত সরানোর নেই কোন উদ্যোগ। তবে চামড়া অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
নওগাঁ শহরের ব্যস্ততম সরিষাহাটির মোড় থেকে দুবলহাটি সড়কের দুইপাশে রয়েছে ছোট বড় ৬০টি চামড়ার আড়ত ও গুদাম। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে চামড়া কেনাবেচা করা হয়। বর্তমান সড়কটি ব্যস্ততম সড়ক হয়ে উঠেছে। প্রচ- সমস্যা মোকাবিলা করে এসব আড়তে প্রতিদিন কাচা চামড়া কেনাবেচা চলে। ব্যস্ততম এ সড়কের দুইপাশে চামড়া কেনাবেচায় একদিকে যেমন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে পুরনো চামড়া গুদামে প্রক্রিয়াজাত করার ফলে দুর্গন্ধে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ। আবাসিক এলাকার ব্যস্ততম এ সড়ক চামড়া বর্জ্য ফেলায় ঘটছে পরিবেশ দূষণ। অবিলম্বে ব্যস্ততম এ সড়কের পাশ থেকে চামড়া কেনাবেচা বন্ধ সহ আড়ত সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নওগাঁ ড্রাগ অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, এখন সময় বদলেছে। তাই ব্যস্ত সড়কে এমন পরিবেশ দূষণ থেকে চামড়া আড়ত সড়ানো দ্রত প্রদক্ষেপ দরকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জসিম উদ্দিন, মানব চন্দ্র, সাদিক হোসেন বলেন, গুদামজাত চামড়ার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় মুখে কাপড় দিয়ে পথ পারাপার হতে হয়। বিষয়টি স্থানীয় চামড়া সমিতির কাছে বার বার নালিশ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। সারা বছর এখানে চামড়া কেনাবেচা চলে। বিশেষ দিবস ঈদ বা বড় কোন উৎসবে জমে উঠে চামড়ার কেনাবেচা। তখন যানযটে নাকাল হয়ে পড়ে পথচারী।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র নজমুল হক সনি জানান, আমরা চামড়া গ্রুপকে দুইবার চিঠি দিয়েছি। সব শেষ গত ১৮ ডিসেম্বর সমন্বয় মিটিংয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন চামড়া গ্রুপকে দুবলহাটি সড়কের দুইপাশ থেকে গুদাম ও কেনাবেচা আড়ত সড়ানোর জন্য চিঠি দেয়।
এ ব্যাপারে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাজেদা ইয়াসমিন জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও চায় ব্যস্ততম সড়কের পাশ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে। তাদের বলা হয়েছে জায়গা খুঁজে সেখানে স্থানান্তর করার।
নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গুপের সভাপতি মোমতাজ হোসেন বলেন, আমরা প্রশাসনের চিঠি পেয়েছি। সেআলোকে ইতোমধ্যে কাজ চলছে। নওগাঁ সদর উপজেলার খাট্রা সাহাপুর মৌজায় ১.৩০ একর জমি চেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এখানে জমি পেলে চামড়া আড়ত দ্রুত সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।