নওগাঁ-৬ আসনে নৌকাতেই আস্থা শান্তিনগরীর শান্তিকামী মানুষের

আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ৪:২৩ অপরাহ্ণ


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসন। বড় ধরনের নির্বাচনি সহিংসতা ছাড়া শুক্রবার (৫ জানূয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শেষ হয়েছে নির্বাচনি প্রচারণার সব কার্যক্রম। সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা ও ট্রাক প্রতিকের মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভাবনা, মনে করছেন ভোটাররা। তবে এক সময়ের অশান্ত এ জনপদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নৌকার প্রতি আস্থা বেড়েছে শান্তিনগরীর মানুষদের।

চারদলীয় জোট শাসনামলে এ আসনটি দেশ ও দেশের বাইরে সর্বহারা সন্ত্রাসী বাহিনী এবং জেএমবি নামক আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকাণ্ডে রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত জনপদে শান্তি-পরিবেশ ফিরে আসে। শান্তি-পরিবেশের স্বার্থে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা পেতে নৌকা প্রতিকের প্রতি মানুষ আস্থাশীল।

উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারের ভ্যানচালক রহিম উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালে উপনির্বাচনে হেলাল ভাই এমপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আর আমাকে কোনো মোড়ে গিয়ে চাঁদা দিতে হয় না। আগে প্রায় প্রতিটি মোড়ে বিভিন্ন সমিতিতে ৫-১০ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। এর ফলে দিনে প্রায় ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। তাই আমরা নৌকায় ভোট দিয়ে হেলাল ভাইকে এমপি নির্বাচিত করতে চাই।

উপজেলার লোহাচূড়া গ্রামের ভটভটি চালক আসলাম হোসেন বলেন, হেলাল ভাই এমপি হওয়ার আগে রেলগেইট, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন মোড়ে প্রতিটি ভটভটি চালককে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। কিন্তু তিন বছর যাবত আর কোনো চাঁদা দিতে হয় না। শুধু ভটভটিই নয়, কোনো অটোচালক, সিএনজি চালককেও আর মোড়ে মোড়ে চাঁদা দিতে হয় না। তাই আমরা হেলাল ভাইকে এমপি হিসেবে চাই।

নৌকার মাঝি ও বর্তমান এমপি মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরই ভ্যান, অটোচার্জার, ভটভটি ও সিএনজি চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমিতির নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করেছি। প্রতিটি এলাকা থেকে আতিনেতা ও পাতিনেতাদের চাঁদা আদায় বন্ধ করেছি, দখলবাজি বন্ধ করেছি। এখন আর কাউকে বিদ্যুত সংযোগ নিতে কোনো দালালকে ঘুষ দিতে হয় না।

বিভিন্ন অফিস-আদালতে নেতাদের দৌরাত্ম বন্ধ করেছি। এখন আর কাউকে একটি চাকরির জন্য দশজনকে টাকা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হয় না। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক চেষ্টার বিনিময়ে খানাখন্দকে পড়ে থাকা রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ সড়কের ২২কিলোমিটার সড়কটির পাঁকাকরণের কাজ সম্পন্ন করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি শতভাগ বিশ্বাস করি শান্তিনগরীর এই শান্ত পরিবেশ ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৭ জানুয়ারি আমাকে নয় শান্তি ও উন্নয়নের প্রতিক নৌকাতেই ভোট দিবেন। আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবেন।

এ আসনে নির্বাচনি মাঠে আরো সরব আছেন, ট্রাক প্রতীকের জেলা আ’লীগের সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন এবং কাঁচি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী নগর আ’ লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী। লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু বেলাল হোসেন জুয়েল, সোনালী আঁশ প্রতিক নিয়ে তৃণমুল বিএনপি’র প্রার্থী পিকে আব্দুর রব, ডাব প্রতিক নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর প্রার্থী সরদার মো. আব্দুস সাত্তার, আম প্রতিক নিয়ে এনপিপি’র প্রার্থী খন্দকার ইন্তেখাব আলম এবং ঈগল প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম।