শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
র্যাব-৫, সিপিএসসির একটি আভিযানিক দল সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিটে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল বাসস্ট্যন্ডে অভিযান চালিয়ে ফরিদপুরের আলোচিত কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ১৬ বছরের ওয়ার্কশপ শ্রমিক খুনের অন্যতম প্রধান আসামী ইসমাইল বেপারী (১৮) কে গ্রেফতার করেছে। ধুত আসামী ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মিয়াপাড়ার আওয়াল বেপারীর ছেলে। ভবর বিজ্ঞপ্তির।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আসামীদের সাথে ভিকটিমদের পূর্ব হতে এলাকার আধিপত্য বিস্তার, বট গাছের জট কাটা সহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় শত্রুতা চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ মে রতি অনুমান ৯ টার সময় ইয়াসিন খালাসী (১৬) বাড়িতে থাকাকালীন হঠাৎ ৯নং আসামী ইসমাইল বেপারী মোবাইল ফোনে ভিকটিমের বাড়ির পার্শ্বে ধান ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায়। উক্ত স্থানে পূর্ব হতে ওঁৎ পেতে থাকা অপর আসামীগণ তাদের হাতে থাকা ধারালো রামদা, ধারালো চাকু, লোহার হাতুড়ি, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিকসহ আরো দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিহত ভিকটিমকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ করতে থাকে।
ভিকটিম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং আসামীর হুকুমে ২নং আসামী ও ধৃত ৯নং আসামী চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করে ভুড়ি বের করে দেয়। অপর আসামীগণ লোহার রড, লোহার হাতুড়ি, হকিস্টিক দিয়ে ভিকটিমকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত কাটা জখম করে।
ধৃত আসামীগণ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কিল-ঘুষি, লাথিসহ এলোপাথারি মারপিট করে নিহত ভিকটিমকে ধান ক্ষেতের ভিতরে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে নিহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
নারকীয় হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। এই ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় নিহত ভিকটিম এর পিতা বাদী একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। আসামীরা সুকৌশলে নিজেদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে রাখে। আসামীদের গ্রেফতারে এলাকায় মানববন্ধন ও জনসাধারণে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
আসামীকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।