নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোমবার (২৯ মে) নগরীতে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি ও আলোচনা সভা। শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “চবধপব নবমরহং রিঃয সব” অর্থাৎ আমার মাঝে শান্তির সূচনা।
রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মো, আব্দুল বাতেন, বিপিএম, পিপিএম, ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, রাজশাহী জেলা প্রশাসন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ, স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, গার্ল গাইডস্, রেড ক্রিসেন্ট, জনপ্রতিনিধি-সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
এর আগে নগরীর আরডিএ মার্কেটের সামনে বেলুন-ফেস্টুন উড্ডয়ন ও কবুতর অবমুক্তকরণের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশা, সংগঠন, স্কাউট দল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। এরপপর বর্ণাঢ্য র্যালি রাজশাহী কলেজ অডিটরিয়ামে এসে শেষ হয়। রাজশাহী কলেজ অডিটরিয়ামে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিহত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. আব্দুল বাতেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোতসর্গকারী বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের মূল কার্যক্রম তুলে ধরেন। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশসহ বিভিন্ন বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি টেকসই উন্নয়নে টেকসই শান্তি প্রয়োজন, আর শান্তির জন্য নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির সমাপনি বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর গৌরবগাথা ভুমিকা-সহ জীবন উৎসর্গকারীগণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব চাই। সেই সাথে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট-সহ সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, কারারক্ষী, বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণকারী ও মিডিয়াকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন এবং অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি প্রধান অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেন।