বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং লিডার এবং নামধারী-সাংবাদিক আখ্যায়িত করে নগরীর কামারুজ্জামান চত্বরে শিরোইল কলোনির বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিকেল পাঁচটায় লাল ব্যানারে তাদেরে বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনের ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম রিনা, দিলারা বেগম, সুমি, শ্যামা, রুনা, রোমেলা বেগম, আলীমসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা বলেন, নামধারী সাংবাদিক বিশাল ও রানাসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা এলাকার বিভিন্ন মানুষকে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে নানাপন্থায় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এছাড়াও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা হিসেবে চাঁদা তোলে। এছাড়াও যেসকল মানুষের নিজস্ব পৈত্রিক সম্পত্তি অংশীদারদের মধ্যে ভাগবাটোয়ার নিয়ে ঝামেলা চলছে তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। সুন্দর কোনো মেয়ের গতিবিধি কিছুটা অসামঞ্জস্য হলে তাকে বিভিন্নভাবে কটূক্তি করা ছাড়াও মিথ্যা কুৎসা কাহিনী তৈরি করে ওই মেয়ের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালায়। চাঁদা না দিলে ওই সকল মেয়েদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়।
অভিযুক্ত ফালাক ও রানা সাত থেকে আটটা মামলার আসামি। এরমধ্যে অন্যতম হলো, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মারপিটের মামলা। এছাড়াও নামধারী সাংবাদিক বিশালের নামেও রয়েছে মামলা। ওই মামলাতে বিশালসহ মোট সাতজন আসামী জামিনে আছে। অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাদী রিনা বেগমকে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করেন। এছাড়াও মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি ধামকি দেয় অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত ও নামধারী এই সাংবাদিকদের নামে এলাকার পুকুর ভরাটের করার মত মোটা অংকের টাকা চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে বলেও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন।
১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলেও জানান উপস্থিত ভুক্তভোগীরা। এ সকল নামধারী ও চাঁদাবাজ সাংবাদিকদেরকে পত্রিকার মালিকপক্ষ কেনো আইডি কার্ড দেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মানববন্ধনকারীরা। সব তথ্য-উপাত্ত সরেজমিনে যাচাই বাছাই করে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা। এবং সাংবাদিকতার মতো মহান পেশা থেকে এ সব নামধারী, অত্যাচারি ও চাঁদাবাজ ব্যক্তিদেরকে সাংবাদিকতা পেশা থেকে অব্যাহতি দেবারও আহবান জানান মানববন্ধনকারীরা।