নগরীতে তাবলীগ ইজতেমা শুরু আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
তিন দিনব্যাপি রাজশাহী জেলার তাবলীগ ইজতেমা নগরীর শাহ মখদুম ঈদগাহ ময়দানে শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে। এরই মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ করেছে ইজতেমার সদস্যরা। এ ইজতেমায় রাজশাহী জেলার সব মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। এর বাইরে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন জেলার বাইরে থেকে বিভিন্ন জেলার প্রায় ২০০ জামায়াত। এছাড়া বিদেশ থেকে আগত কয়েকটি কয়েকটি জামায়াতও অংশগ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জামায়াত ও বিদেশের কয়েকটি জামায়াত তাবলীগ ইজতেমা উপলক্ষে রাজশাহীতে এসে পৌঁছেছেন।
তাবলীগ ইজতেমার সুরার সদস্য মো. নাসির উদ্দিন জানান, আজ ফজর থেকেই বয়ান শুরু হবে। তবে মূল বয়ান শুরু হবে মাগরিবের নামাজের পর থেকে। কাকরাইল মসজিদের বক্তারা এতে বয়ান পেশ করবেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, এবছর টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত তাবলীগ ইজতেমায় রাজশাহী থেকে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শুধুমাত্রা যারা ৪০ দিন কিংবা ১২০ দিনের জামায়াতে রাজশাহীর বাইরে থাকবেন তারাই শুধু টঙ্গী ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। রাজশাহীর তাবলীগ ইজতেমায়ও শুধু রাজশাহীর মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, তবে রাজশাহীর বাইরের জেলার মধ্যে যারা রাজশাহীতে ৪০ কিংবা ১২০ দিনের জামায়াতে আছেন তারাও এই তাবলীগ জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। রাজশাহীতে এরকম প্রায় ২০০টি জামায়াত রয়েছে যারা এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে। এর বাইরে সৌদি আরব, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও ম্যালয়েশিয়া থেকেও একটি করে জামায়াত এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে।
তাবলীগ ইজতেমার সব প্রস্তুতি শেষ। প্যান্ডেল থেকে শুরু করে বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পানি ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে মাঠে কার্পেটের বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা নিজেদের জায়গায় কার্পেট বিছিয়ে অবস্থান নিবেন। নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের তো কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় না। তবে প্রশাসন থেকে বলার কারণে ছয়টি সিসি ক্যামেরা ঈদগাহ ময়দান প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বলা যায়, পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঈদগাহ ময়দানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। ইফতে খায়ের জানান, মূল গেটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঈদগাহের ময়দানের থাকবে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। সেখানে ছয়টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।