বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘মৃত্তিকা ও পানি : জীবনের উৎস’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, এডিসি (জেনারেল) কল্যাণ চৌধুরী।
এর আগে, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
এসময় মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাদিয়া আফরীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইলিয়াস হোসেন, বিএমডিএ রাজশাহীর ব্যবস্থাপক (কৃষি) রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সাবিনা বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী বলেন, মৃত্তিকা একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। মৃত্তিকা এবং পানি উভয়েই হলো জীবনের ভিত্তি, এ দুটি ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। পৃথিবীর সকল প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাটি ও পানি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়াও মানুষের কৃষি গঠনে মাটির অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। তাই মৃত্তিকা সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং তার প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কারণে দিন দিন মাটির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে, বিশেষ করে পলিথিন আর প্লাস্টিকের যততত্র ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে মাটি রক্ষায় কাজ করতে হবে। মাটির গুণাগুণ সঠিক রাখতে জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ মানসম্মত জৈব সার ব্যবহার করতে হবে এবং মাটির সুরক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও পরিবেশের বিপর্যয় থেকে দেশকে বাঁচানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে একটি ফলদ, বনজ ও একটি ভেষজ গাছ রোপনের আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি প্রধান চাবিকাঠি। বর্তমান সরকার কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষিবান্ধব নীতি ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্ণতা লাভ করেছে। কিন্তু কৃষির উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এক দিকে আবাদযোগ্য জমি ক্রমাগত কমে যাচ্ছে, অন্য দিকে ক্রমবর্ধমান বিশাল জনগোষ্ঠীর বাড়তি চাপ।
এসব চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আমাদের এগোতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে মাটি ও মাটির গুরুত্ব অপরিসীম। অযত্ন ও অতিমাত্রায় ব্যবহারের কারণে মাটি ও পানি নানাভাবে অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণে বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মিদের টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।