নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীতে মধুসূদন-রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী একসঙ্গে উদযাপন করেছে- রাজশাহী এসোসিয়েশন। শনিবার (২৫ মে) বিকেলে রাজশাহী এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে এ জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বিষয়ে পৃথক আলোচনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজশাহী এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য কবি ও কথাশিল্পী অধ্যাপক জুলফিকার মতিন।
এসময় রাজশাহী এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য আকবারুল হাসান মিল্লাত এঁর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা।
এ জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত: ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য বোধের নবজাগৃতি’- শীর্ষক আলোচনা করেন অধ্যাপক গোলাম কবির, ‘রবীন্দ্রনাথের অধ্যাত্ম চেতনা’- শীর্ষক আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. শহীদ ইকবাল এবং ‘নজরুল জীবনে দ্রোহ ও প্রেম’- শীর্ষক আলোচনা করেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী।
এ জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বিষয়ে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন যথাক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.বি.এস বিভাগের প্রফেসর ড. স্বরোচিষ সরকার, রাজশাহী কলেজ বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শিখা সরকার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. সাইফুদ্দিন চৌধুরী, সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সরকার।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশবরেণ্য কবি ও কথাশিল্পী অধ্যাপক জুলফিকার মতিন বলেন, ‘বাঙালির আবেগ অনুভূতির সঙ্গে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। পাশাপাশি অনেকখানি জুড়ে রয়েছেন মধুসূদন দত্ত। আমাদের আদর্শিক বন্ধু হিসেবে আমরা এই তিন কবিকে বারবার স্মরণ করি। তাই তো স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে স্মরণ করা হয়েছে। এই তিন মহান কবির জন্মজয়ন্তী একসঙ্গে উদযাপন করা রাজশাহী এসোসিয়েশনের একটি মহতী উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। এই তিন মহান কবির শিক্ষা আমাদের বাস্তব জীবনে সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তবেই এই জন্মজয়ন্তী সার্থক হবে।’
উল্লেখ্য, মধুসূদন-রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সেমিনার, আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনার শেষে তিন কবির রচিত গান, কবিতা আবৃত্তি ও গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।