নগরীতে সবজির বাজার অস্থির

আপডেট: আগস্ট ১২, ২০১৭, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নগরীতে সবজির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে সবজির দাম বেড়েছে কয়েক গুন। এর ফলে নি¤্নআয়ের মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। সবজির বাজারে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে ক্রেতাদের। এর ফলে চাহিদার অর্ধেক সবজি দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষের। সবজির পাশাপাশি কাঁচা মরিচের দামও আকাশছোঁয়া।
নগরীর সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের মতই প্রায় সবজির সরবরাহ রয়েছে। সকাল হলেই গ্রাম থেকে প্রর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি আসছে শহরের বাজারগুলোতে। তবে দাম কেনো বেশি- তার সদুত্তর দিতে পারছেন না সবজির খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন, আড়ত থেকে বেশি দামে কেনারা জন্য আমরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
গত এক সপ্তাহ আগে আলু বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজির মধ্যে। কিন্তু সেই আলু এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫টাকা কেজি। বিশেষ করে কাঁচা সবজির মধ্যে করলা, কাকরুল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি। যা গত এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। এছাড়াও শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকা কেজি দরে। ৩০টাকার নিচে মিলছে না কোনো ধরনের শাক। এক হালি কাঁচা কলা কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। লাল শাক, পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫টাকা। বেগুনের বাজারেও আগুন। মাত্র ৩০টাকা কেজির বেগুন বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টাকা কেজি দরে। ঢেড়সের দামও বেশি।বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তবে আড়তদাররা (যারা পাইকারিভাবে সবজি কেনেন) বলছেন, রাজশাহীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হবার কারণে সবজির আমদানি কমে গেছে। এর ফলে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম।