সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ৬ বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকার গাছে গাছে আসতে শুরু করেছে আমের আগাম মুকুল। শীতের তীব্রতা কম থাকায় গাছে আগাম মুকুল দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফল গবেষকরা। পৌষের শীতে এই আগাম মুকুল আমচাষির মনে জ্বেলেছে আশার আলো। তবে অভিজ্ঞ আমচাষি ও গবেষকরা বলছেন, শীতে ঘন কুয়াশা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমের ফলন।
রাজশাহী ফল গবেষণাগার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে গত বছর রাজশাহী জেলায় আমের বাগান ছিলো ১৬ হাজার ৫৮৩ হেক্টরে জমিতে। এবছর বাগানের পরিমাণ আরো কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রতিবছর নগরীতে তীব্র শীত পড়ে। এবছর ঠিক ততটা শীত পড়েনি। পৌষ মাস শেষ হতে গেলেও শীত যতটা নামার কথা ততটা নামেনি। তবে দুই ধরে তীব্র শীত পড়ছে। এছাড়া গত শীত মৌসুমের চেয়ে তাপমাত্রাও বেশি। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমের মুকুল আসার কথা থাকলেও এবছর প্রায় এক মাস আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নগরীর গাছে গাছে চলে এসেছে আমের আগাম মুকুল। নগরীর ভেড়িপাড়া, পুলিশ লাইন, মালোপাড়া, মেহেরচন্ডি ও ভদ্রা আবাসিক এলাকার আমের গাছে শোভা পাচ্ছে প্রচুর মুকুল। তবে উপজেলার আমচাষীরা জানিয়েছেন, গ্রামের গাছগুলোতে মুকুল আসতে দেখা যায়নি।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, ‘এবছর শীত কম পড়েছে। তাপমাত্রাও বেশি। একারণেই নগরীর গাছে আগাম মুকুল এসেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্য প্রবাহ নামলে আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও এখনো তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত এমন থাকলে আমের ফলনে কোন সমস্যা হবেনা বলে আশা করা যাচ্ছে।