নগরীর বায়ুতে বস্তুকণার পরিমাণ নির্ণয়

আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২৩, ২:০৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :


বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রাজশাহীর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বায়ুতে বিদ্যমান বস্তুকণার পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। শনিবার (১১ নভেম্বর) এই নির্ণয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পি.এম ২.৫ এবং পি.এম ১০ মাত্রা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তালাইমারী মোড়ে যথাক্রমে ৯৭ ও ২৪৬ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। রেলগেট মোড়ে যথাক্রমে ৯৩ ও ২৩১, সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে যথাক্রমে ৮৮ ও ২২৫, লক্ষ¥ীপুর মোড়ে যথাক্রমে ৯৪ ও ২২৯, বিসিক এলাকায় যথাক্রমে ৭৬ ও ২২২ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। খবর বিজ্ঞপ্তির।

প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পি.এম ২.৫ এবং সর্বোচ্চ পি.এম ১০ এর পরিমাণ বাংলাদেশের নির্ধারিত ঘনমাত্রার চেয়ে বেশি। উল্লেখ যে, গত শুস্ক মৌসুমে এর মান বাংলাদেশের নির্দিষ্ট পরিবেষ্টক বায়ুর মানের চেয়ে সামান্য বেশি পাওয়া গিয়েছিল। তবে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে বায়ু পরীক্ষার সব স্থানেই বায়ুর মান তুলনামূলক খারাপ পাওয়া যায়

। পি.এম ২.৫ কে বলা ফাইন পার্টিকলেস। এটা ষঁহম এর গভীরে যেতে পারে। এমন কি রক্তের প্রবাহেও যেতে পারে। এর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ষঁহম ও হার্টের ক্ষতি করে। পি.এম ১০ কে বলা হয় কোর্স পার্টিকলেস। এটা তুলনামূলক কম ক্ষতিকর। এটার জন্য চোখ, নাক ও গলায় অস্বস্কিবোধ তৈরি হয়।

সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী শহরে অনেক নির্মাণ কাজ চলছে, যার মধ্যে অন্যতম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক নির্মাণ। ফলে বায়ুদূষণ বাড়ছে। এছাড়াও এই সময় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে

। নির্মাণকাজে বাংলাদেশের বায়ু দূষণ নীতিমালা ২০২২ মেনে চললে এই দূষণ হয়তো অনেকটা কমে আসবে। আরো উল্লেখ যে, অক্টোবর ২০২৩ এ রুয়েট এর সেমিনারে একটা রিসার্চ পেপারেও রাজশাহী শহরে একই রকম বায়ু দূষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ