সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র রমজানের প্রথম রোজা আজ। রোজার ইফতারকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নগরীর মোড়ে মোড়ে বসেছে অস্থায়ী দোকান। দোকানগুলোতে বিভিন্ন আইটেমে ইফতার পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। রোজার প্রথম দিন হওয়ায় দোকানগুলোতে রোজাদারদের ইফতার কিনতে ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
নগরীর বিনোদপুর, কাজলা, তালাইমারী, ভদ্রা, সাধুর মোড়, সাহেব বাজার, নিউ মার্কেট এলাকার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেলে শামিয়ানা টানিয়ে অস্থায়ী ইফতারের দোকান বসানো হয়েছে। এছাড়া নগরীর বড় বড় রেস্টুরেন্টগুলোও ইফতার বিক্রির আয়োজন রেখেছে। ইফতার বিক্রিকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর থেকে দোকানগুলো সাজানো শুরু হয়। বিকেল থেকে শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাক।
নগরীর রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোট-বড় অনেক ইফতারের দোকান বসেছে। বিকেল থেকে ক্রেতারা ইফতারের দোকানে ভিড় করছেন। বিক্রেতারাও ব্যস্ত ইফতার তৈরি, একই সাথে বিক্রিতে। ইফতারির তালিকায় থাকা প্রতিকেজি জিলাপী ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, বুট (ছোলা) ১৫০ টাকা, পিয়াজু ১৫০ টাকা, নিমকী ১৫০ টাকা, চানাচুর ১৫০ টাকা, চিড়া ১৫০ টাকা, বাদাম ৩০০ টাকা, বেগুনী ১৫০ টাকা, আলু চপ ১৫০ টাকা, ডিম চপ ১৫০ টাকা, বুন্দিায়া ১৫০ টাকা, চিকেন তেহরী ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন দোকেন প্যাকেজ আকারে বিক্রি হচ্ছে ইফতার। এতে থাকবে জিলাপী ১ পিস, বেগুনী ১ পিস, পিয়াজী ১ পিস, আলুর চপ ১ পিস, শশা ও এক গ্লাস শরবত ৫০ টাকা ধরা হচ্ছে।
নগরীর কাজলায় ইফতার বিক্রেতা শাহ আলম জানায়, তার দোকানে প্রতিকেজি জিলাপী ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, ছোলা ১৫০ টাকা, পিয়াজু ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে, আলুর চপ, সবজির চপ, ডিমের চপ, চিংড়ির চপ, ভেজিটেবল রোল বিক্রি করা হচ্ছে। আমাদের একটা রেস্টুরেন্ট আছে। রমজান মাসে ইফতার বিক্রি করা হয়। দুপুরের পর থেকে ইফতারের আইটেম গোছাতে শুরু করি। বিকাল থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আলুর চপ, বেগুনি, পিয়াজু, ডিম চপ, শাহী জিলাপি, হালিম, বিভিন্ন প্রকার কাবাব, মুরগির রোস্ট, সমুচা, শিঙ্গাড়া, ছোলা, বুন্দিয়া, নিমকিসহ আরও বিভন্ন ধরণের আইটেম প্রধান। রোজাদারা এই সামগ্রীগুলোই কিনছেন।
ইফতার ক্রেতা শাকিল হাসান বলেন, রোজার মূল আকর্ষণ ইফতার। সাহরী প্রত্যেকেই বাড়িতে করে। কিন্তু ইফতারগুলোর মানুষ একে অপরের সাথে করার চেষ্টা করে। যদিও প্রথম রোজার ইফতার বেশির ভাগ মানুষ বাড়িতে পরিবারের সাথে করার চেষ্ট করে। আজ আমিও ইফতার বাড়িতে করবো।
ইফতার বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই এখানে ইফতারের দোকান দেয়। এবছর দিয়েছি। প্রথম রোজায় বেশি বিক্রি হয়। সেই হিসেবে আজ তেমন বিক্রি জমে নি। তারপর ইফতারের আগ মহুর্তে এক দফা বিক্রি জমে। আজও জমবে আশা করছি।
রহমানিয়া প্লাসের স্বতাধিকারী ভুলু জানান, রমজানে ইফতারের আইটেমের মধ্যে রয়েছে পেয়াজু, বেগুনি, ছোলা, আলু পারাটা ছাড়াও বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম দিনিই ক্রেতাদের ভিড় ছিল।