শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর খ্যাতি দেশ জুড়ে। কিন্তু ‘প্রদীপের নিচে অন্ধকার’-এর মত কিছু সমস্যা রাজশাহী নগরবাসীর অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। ইদানিং রাজশ্হাী তিব্র যানজটের শহর এবং শব্দ দূষণের শহর হিসেবেও পরিগণিত হচ্ছে। সেই সাথে নগরবাসীর জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে মশার উপদ্রব। বিশেষত এই তিন সমস্যা নিয়ে নগরবাসীর প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা নগরবাসীর জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এসব সমস্যা ও বিড়ম্বনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। এমনই মুহূতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নগরবাসীর ত্রিমুখি সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছে। সিটি কর্পোরেশন সমস্য্গাুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছে এবং সেগুলো নিরসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সোনার দেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে নগরভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত রাসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভায় সমস্যা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর নগরবাসীর সেবা কার্যক্রম পরিচছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণ, ড্রেন স্লাব চুরি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর ও সচিবদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।
সভায় বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণ, যানজট নিরসনে নির্দিষ্ট সময়ে দুই কালার অটোরিক্সা চলাচল, নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল চালু, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, নওদাপাড়া বাজার, শালবাগান বাজার নির্মাণ, বিভিন্ন বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান পার্কে শিশুদের বিনোদনে রাইডস সংযোজন, ফুটওভার ব্রিজ, ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় রাস্তা ও ফুটপাত দখল মুক্তকরণসহ অবৈধ ব্যানার, বিলবোর্ড অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন তাদের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিবে এটাই নগরবাসীর প্রত্যাশা। একই সাথে যানজটমুক্ত করার ক্ষেত্রে নিবন্ধনহীন অটো ও অটোরিকসা চলাচল বন্ধ করা এবং উপজেলা পর্যায়ের এই শ্রেণির যানবাহন যাতে শহরে প্রবেশ করতে না সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়াও বাঞ্ছনীয়। নতুবা নগরীর যানজট সমস্যার সমাধানে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না। শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা অধিকহারে বেড়েছে, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।