নগরী ও রাবিতে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বাড়ছে

আপডেট: আগস্ট ১, ২০১৭, ১২:৫১ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক


ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নগরবাসী। দিন রাত মিলিয়ে প্রতিদিন ১৪-১৫ বার লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রচ- গরমে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে খুবই অসুবিধায় পড়ছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কখনো টানা দুই-তিন ঘন্টা লোডশেডিং এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে ক্লাস, অফিস আদালতের কার্যক্রম, শিক্ষা ও গবেষণার কাজ।
এনিয়ে রাবিসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের তদারকির মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দিনে পনেরো থেকে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে আমরা মোবাইল ও ল্যাপটপে চার্জ দিতে পারছি না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো ক্যাম্পাস অন্ধকারে ছেয়ে যায়। ক্যাম্পাসে হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা ঠিকমতো পড়াশুনা করতে পারছি না। পারছি না ঠিক মতো ঘুমাতেও। এতে করে আমাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাছাড়াও রাবি ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিনোদপুর, কাজলা, মেহেরচ-ি এলাকায় চলছে নিয়মিত লোডশেডিং। আর এসব এলাকার বাসাবাড়ি ও মেসগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এবিষয়ে নর্থ-ওয়েস্ট জোন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল রশিদ বলেন, কয়েকদিন থেকে রাজশাহীসহ আশেপাশের অঞ্চলে লোডশেডিং সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চাহিদা মতো বিদ্যুতের সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, ‘আমাদের এখানে কোন সমস্যা হয়নি। তালাইমারী সাব-স্টেশনে সমস্যা হয়েছে।’ তালাইমারী সাব-স্টেশনে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, লোডশিডিং এর কারণে শিক্ষার্থীদের সাময়িক ভোগান্তি আমি বুঝতে পারছি। তবে যেহেতু এটা জাতীয় গ্রেডের সমস্যা তাই আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে আমি রাজশাহী বিদ্যুৎ বিভাগকে বলে রেখেছি যে, রাজশাহীতে বিদ্যুৎ দিলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি দিতে হবে। কেননা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার কাজ যেন বিদ্যুতের অভাবে ব্যাহত না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ আসে পিডিবির কাছ থেকে। তাই এটা পিডিবির সমস্যা। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সমস্যা না। তাই আমাদের কিছু করার নেই। কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।