বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
পৃথিবীর বরাবরই বিবর্তনের পথে হেঁটেছে। বর্তমান সময়েও এর ব্যতিক্রম নয়। নতুন সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে পৃথিবীর টেকটনিক প্লেটগুলি সরে যাওয়ার ফলে পৃথিবীতে দেখা গিয়েছে নতুন ধরনের প্রজাতি। প্রকৃতি বরাবরই খামখেয়ালি। বহু বছর ধরে টেকটনিক প্লেটগুলি স্থান পরিবর্তন করেছে। আর প্রতিবারই নতুন প্রজাতির আবির্ভাব ঘটেছে।
এই নতুন প্রজাতি সর্বদাই সমুদ্র থেকে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর বিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয় সমুদ্র থেকেই। সেখানে এমনতিই নানা ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে। সেখানেই নতুন ধরনের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছে। সমুদ্রের তলা থেকে মেলা নানা ধরনের ফসিল থেকে এগুলি আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে। আজ থেকে আড়াইশো মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসর যুগে বহু ফসিল পাওয়া গিয়েছে।
কিন্তু জলের নিচে থাকা সেইসময়ের ফসিলগুলি অনেক বেশি অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীতে যখনই কোনও প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে তখনই বিবর্তনের পথে গিয়েছে পৃথিবী। এরই শিকার ডাইনো যুগের বিশাল প্রাণীরা। অধিক মাত্রায় বিকশিত হওয়ার ফলে এই প্রাণীরা পৃথিবীর ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছিল। তাই পৃথিবী নিজেই তাঁদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
১৯৩৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সমুদ্র থেকে এমন একটি মাছ পাওয়া গিয়েছিল যা অন্য সব ধরনের প্রজাতি থেকে আলাদা ছিল। এই মাছ খুব অল্পদিনের মধ্যেই লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যদি এর বাড়বাড়ন্ত হত তবে আজকের দিনে বহু সামুদ্রিক প্রাণী হয়তো বিলোপের পথে চলে যেত। তবে এই মাছের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর আগে অন্যকে নিজের ডিএনএ দান করেছে সে। এটাই বেশি ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। তাহলে কোন নতুন প্রাণী রয়েছে জলের অতলে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন