মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
পাকিস্তানে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে যে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে যোগ দেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাওয়াস শরিফ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জল্পনা সত্য করে তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ জানিয়ে দিল, আসন্ন নির্বাচনে দলের সর্বসম্মতিক্রমে নওয়াজই প্রার্থী। লন্ডনে চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনের পরে গত অক্টোবরে পাকিস্তানে ফিরেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
২০১৭ সালে পানামা পেপার-সহ একাধিক দুর্নীতিতে শরিফকে তাঁর দফতর থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। ২০১৮ সালে আদালতেরই নির্দেশে দু’দফায় ১০ বছর ও ৭ বছরের জেল হয় তাঁর। সে সময় থেকেই লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন শরিফ। প্রাথমিক ভাবে হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য ছ’সপ্তাহের জামিন নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। জামিনের মেয়াদ ফুরোনোর পরেও না ফেরায় আদালত তাঁকে ফেরারি আসামি ঘোষণা করেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়ং, গত অক্টোবরে দেশে ফিরে আদালতে তাঁকে দেয়া শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেন শরিফ। গত ১২ ডিসেম্বর ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তাঁকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে। শরিফ যে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লড়বেন, ইঙ্গিত জোরালো হয় তারপর থেকেই। পিএমএল-এনের এক শীর্ষ নেতা রানা সানাউল্লা খানের জানান, এই নির্বাচনে শরিফ ছাড়া আর কাউকে প্রার্থী হিসেবে ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে তিন বার প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন নওয়াজ শরিফ। ১৯৯০ সালে দেশের ১২তম প্রধানমন্ত্রী হন তিনি, গুলাম ইশাক খান তখন প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৩ সালে গদিচ্যুত হয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন গুলাম ইশাক। তখন থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বেনজির ভুট্টো সরকারের বিরোধীপক্ষের প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন শরিফ। তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৭ সালে। ১৯৯৯ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানে গদিচ্যুত হন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে শরিফ আবারো প্রধানমন্ত্রী হন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন