শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নাচোল প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক আদিবাসী কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচদিন পর উদ্ধার করে থানায় মামলা দায়ের করেছে অভিভাবকরা। ওই কিশোরীকে পুলিশ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কিশোরীর মা মালতি মাহালী জানান, তার কিশোরী কন্যাকে নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ভারশো গ্রামের মসিদুর রহমানের ছেলে হাসান (২০) নাচোল ইউপির রাজবাড়ী মহাম্মদপুর (দিঘিপাড়া) গ্রামের আজাহারের ছেলে এরশাদ (৩০) এর সহযোগিতায় গত ২০ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সুকানদিঘি গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। অপহরণের তিনদিন পর নওগাঁর ভারশো ইউপির চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করি। ওই দিন রাতেই নাচোল থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করতে গেলে নাচোল থানার ওসি মান্দা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। গত ২৩ অক্টোবর মান্দা থানার ওসি নাচোল থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে অবশেষে ২৪ অক্টোবর নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দিন অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠান।
কিশোরীর মা এর অভিযোগ, মহাম্মদপুর দিঘিপাড়ার আজাহারের ছেলে এরশাদ তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে হাসানের হাতে তুলে দেয়। মুসলমান এরশাদ সাঁওতালের মেয়েকে বিয়ে করে মুসলমান না করেই সুকানদিঘি সাঁওতাল পাড়াতে শশুর কবিরাজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে আদিবাসী নারীকে জিম্মি করে টাকা আদায় এবং একাধিক নারী পাচার ও অপহরণের অভিযোগ আছে। অভিযুক্ত এরশাদের পিতা আজাহার আলী তার ছেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এদিকে কিশোরীর পরিবার আদিবাসী হওয়ায় সুবিচার পাবেন না বলে আশঙ্কা করছেন। নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দিন জানান, আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং অপহরণ মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে এবং ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।