রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নাচোল প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মিটছে না। অসন্তোষ বাড়ছে প্রধান শিক্ষকের গঠিত পকেট কমিটি নিয়ে। স্থানীয় অভিযোগকারী ও প্রধান শিক্ষকের রেশারেশিতে ব্যাহত হচ্ছে শিশুশিক্ষা কার্যক্রম। নাচোল উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৮টি ও নতুন জাতীয়করণকৃত ৪৯টি মিলে মোট ৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে থাকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা স্থানীয় সুশীল সমাজের সাথে সমন্বয় করে প্রতিবছর ১১ সদস্য বিশিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করে থাকেন। কিন্তু অভিযোগ আছে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা স্থানীয়দের সাথে আলোচনা না করে তাদের আস্থাভাজন কিছু লোকদের নিয়ে মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অনুমোদনের জন্য জমা দেন। উপজেলার ৮৭ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ইতোপূর্বে বেশীরভাগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলার সূর্যপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষèীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহরইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযাগ পাওয়া গেছে। ৩৩ নম্বর লক্ষèীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বাইনুদ্দিনের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর গোপনে গঠিত কমিটির বিদ্যা উৎসাহী সদস্য হারুন অর রশিদ ওই শিক্ষকের ভাতিজা। সে রাজশাহী আর্ট কলেজের প্রভাষক এবং রাজশাহীর স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়ম অনুযায়ী সে ওই সদস্য হতে পারে না। গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সাংসদ মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের সুপারিশ নিয়ে ওই কমিটি বাতিলের আবেদন করলেও গত ৩ মাস ধরে এটির সুরাহা হচ্ছেনা। গঠিত কমিটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা ও অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, স্থগিত হওয়া ৩টি বিদ্যালয়ের অভিযোগগুলি ক্লাষ্টার অফিসারগণ সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিলে তা উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে উপস্থাপন শেষে অনুমোদন হবে।#
রুমি