নাচোলে বাড়ছে মুসুর ফসলের চাষ

আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০১৭, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

নাচোল প্রতিনিধি



চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এবছর মুসুরের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষক ও কৃষিবিদরা। মুসুরের খেতে বইছে সবুজের ঢেউ, ফুলেফুলে মৌমাছির অনাগোনা। মুসুর খেত দেখে কৃষকের বুকভরা আশা দোল খাচ্ছে। মাঘ পেরুলেই কৃষকের ঘরে উঠবে কষ্টার্জিত ফসল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সত্যেণ কুমার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, গতবছর মুসুরের ভাল বাজারমূল্য পাওয়ায় এবছর নাচোলে গতবছরের ১০গুন আবাদ হয়েছে। গতবছর নাচোল উপজেলায় মুসুরের আবাদ হয়েছিল প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে। এবছর ৫ হাজার ৮শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে মুসুরের চাষ  হয়েছে। সময়চিত সার, কীটনাশক, ভিটমিন ও খেতে কঞ্চি পুতে কীটপতঙ্গ রোধ কৌশল প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তরা। মুসুর, খেসাড়ি ও মটর খেতে সবুজের মাঝে বেগুনী ফুলের সমারহ, খেসাড়ি ও মটরে ফল ধরা শুরু হয়েছে। পৌষের শেষে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে রবিশস্য সরিশা, মুসুর, মটর খেসাড়ি, জব ও গমের জন্য খুবই সহায়ক হয়েছে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে এবং কোন প্রকৃতিক বিপর্যয় না হলে এবছর মুসুরের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা। সেচ ছাড়া এবং ভাল বাজার মূল্যের জন্য মুসুর চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সত্যেণ কুমার বলেন, ধানের চেয়ে ডাল জাতিয় ফসল চাষে কৃষকের ১০ ভাগের একভাগ উৎপাদন খরচ হয়। কিন্তু বাজারমূল্য ধানের চেয়ে প্রায় ৩গুনের বেশী। সে বিবেচনায় সেচ ছাড়া ও অল্পসেচে ডাল জাতিয় ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারলে একদিকে যেমন ডালজাতিয় ফসলের যোগান বাড়বে অন্যদিকে কৃষকদের সেচ নির্ভরতা কমবে। ফলে রিজার্ভ বাড়বে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের।