বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
৮ বছর ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে নাচোল উপজেলা ডায়াবেটিক সেন্টার। প্রতি মাসে সেখানে ৫/৬শো রোগী আসেন। যারা শারীরিকভাবে খুব দুর্বল ও আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হেতু জেলা শহরের ডায়াবেটিক সেন্টারে যেতে পারেন না। তারা নাচোল ডায়াবেটিক সেন্টারে আসেন। শুধু রক্তের সুগার পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফিরে যান ।
নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, নাচোল উপজেলায় ৪ শতাধিক ডায়াবেটিক রোগী আছে। তাদের বেশির ভাগ রোগী উন্নততর চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে যান। তবে সেই চিকিৎসা নাচোলে পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে যেতেন না। কিন্তু এই আকাক্সক্ষাা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবসহ অন্যান্য সুবিধা এখনো গড়ে তুলতে পারেনি নাচোল ডায়াবেটিক সেন্টার। স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের অনুদান ও রক্ত পরীক্ষা বাবদ ১৫০ টাকা সংগ্রহ ছাড়া অন্য কোনো স্থায়ী আয়ের ব্যাবস্থা করতে পারেনি তারা।
নাচোল উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি ছোট বাড়ি মাসিক ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে ক্ষুদ্র পরিসরে তাদের এই সেবামূলক কার্যক্রম পরচালনা করছে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের এই যাত্রা শুরু হয়। এখানে একজন ডাক্তার সপ্তাহে ৩ দিন বসেন, তাকে প্রতিদিন দিতে হয় ২ হাজার টাকা।
একজন টেকনিশিয়ানকে মাসে ৮ হাজার টাকা, একজন নার্সকে মাসে ৬ হাজার টাকা ও একজন আয়াকে মাসে ৪ হাজার টাকা বেতন দিতে হয়। নাচোল উপজেলা ডায়াবেটিক সেন্টার বর্তমানে জেলা শহরের ডায়াবেটিক সেন্টারের অনুমোদন নিয়ে রক্ত পরিক্ষার কাজ করছে। তবে তারা বারডেম এর অনুমোদন নেবার জন্য সমিতির গঠনতন্ত্র, সদস্যদের তালিকা, ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা সহ অন্যান্য কাগজপত্র প্রস্তুত করছেন।
শিগগিরই আবেদন করবেন। অদূর ভবিষ্যতে তারাও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জের মত আত্মনির্ভরশিল ডায়াবেটিক কেন্দ্র গড়ে তুলবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। তারা সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতার প্রত্যাশা করেন।